চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে দেশের ২২ জেলার ৪২ উপজেলার ২১৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এর মধ্যে ২১৬ ইউপিতে ইভিএমে এবং মাত্র দুটি ইউনিয়নে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে।
ইসি সূত্র জানায়, এই নির্বাচনে মোট ভোটার ৪১ লাখ ৮২ হাজার ২৬৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২১ লাখ ১৪ হাজার ৭২০ ও নারী ভোটার ২০ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭। এছাড়াও ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। এসব ভোটার দুই হাজার ১৮৬টি কেন্দ্রের ১৩ হাজার ৩০৫টি কক্ষে ভোট প্রদান করবেন।
নির্বাচনের এ ধাপে সারাদেশে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১ হাজার ৬০৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে এক হাজার ১৯৯ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দুই হাজার ৫৫৯ এবং সাধারণ সদস্য পদে সাত হাজার ৮৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ষষ্ঠ ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১৪৪ প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১০০ জন।
নির্বাচনী এলাকায় ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৫৪ ঘণ্টার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এছাড়া শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এসব এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাও বন্ধ হয়েছে। আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে নির্বাচনী প্রচারকাজ বন্ধ করতে হয়।
চলমান ইউপি নির্বাচনে ইতোমধ্যে পাঁচ ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের দুই দফায় ৩৬৯টি এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে এক হাজার ইউপিতে এবং চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ৮৩৬ ইউপিতে ভোটগ্রহণ করা হয়। পঞ্চম ধাপে গত ৫ জানুয়ারি ৭০৮ ইউপিতে ভোট হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে ২১৮ ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে। সপ্তম ও শেষ ধাপে ১৩৮ ইউপিতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে দেশে চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজার ইউপিতে ভোট করা যাবে। মামলা জটিলতার কারণে বাকিগুলোর নির্বাচন আটকে আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ইতোমধ্যে নয়বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৩ সালে প্রথম ইউপি নির্বাচন এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালে নবম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩ ও ২০১১ সালে ইউপি নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রথম বারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন হয়।
রাজশাহীর সময় / এফ কে