দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত চার দিনের ব্যবধানে আরেক দফায় কমেছে পেঁয়াজের দাম। এতে প্রতিকেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা কমেছে সবরকম পেঁয়াজের দাম। ফলে ২৩ থেকে ২৪ টাকার পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১৯ থেকে ২০ টাকা কেজিদরে।
স্থানীয় পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়িরা বলছেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকায় কমে গেছে পেঁয়াজের দাম। প্রকার ভেদে ফুলবাড়ী পৌর বাজারে প্রকার ভেদে ২৩ থেকে ২৪ টাকার ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিদরে। এতে করে দেশি পেঁয়াজের দামও কমেছে।
গতকাল সোমবার সকালে ফুলবাড়ী পৌরসভার সবজি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, গত চারদিনের ব্যবধানে আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে দাম কমেছে কেজিতে চার টাকা। চারদিন আগেও যে পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ২৩-২৪ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়েছে, সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিদরে। তা আবার খুচরা বাজারে প্রকার ভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১ থেকে ২২ টাকা কেজিদরে।
সবজি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আসাদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ঈদের আগেও পেঁয়াজের দাম কমে আসায় সে সময় বেশি করে পেঁয়াজ কেনা হয়েছিল। আজ আবারও পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় পাঁচ কেজি কিনে নিয়েছেন। পেঁয়াজসহ সবজির বাজার স্থিতিশীল থাকলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য অনেক উপকার হয় কেনাকাটা করতে।
এদিকে ২৮-২৯ টাকা কেজি দরের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা কেজিদরে। পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তিতে আছেন ব্যবসায়িসহ ক্রেতা সাধারণ।
পৌর বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ি মন্টু মিয়া বলেন, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই দফায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। এতে ২৬ থেকে ২৯ টাকা কেজিদরের আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২০-২১ টাকা কেজিদরে। একইভাবে ৩৬ থেকে ৩৯ টাকা কেজি দরের দেশি পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা কেজিদরে।
ফুলবাড়ী পৌর বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ি মতিয়ার রহমান বলেন, আদমানি স্বাভাবিক থাকলে বাজারও স্বাভাবিক থাকে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকলে এখানেও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকবে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫ থেকে ৭ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৫-৬ টাকা।