বুরকিনা ফাসোয় অভ্যুত্থানের আগে ৬০ ‘সন্ত্রাসী’ নিহত: ফ্রান্স


আন্তর্জাতিক ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 31-01-2022

বুরকিনা ফাসোয় অভ্যুত্থানের আগে ৬০ ‘সন্ত্রাসী’ নিহত: ফ্রান্স

বুরকিনা ফাসোয় গত ২৪ জানুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের আগে দেশটির স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন কথিত সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী। স্থানীয় সময় রোববার (৩১ জানুয়ারি) তারা জানায় দেশটির সাহেল রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সময় গতকাল রোববার (২৩ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগাদুগুর সাংগুলে লামিজানা সেনানিবাসে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এর কয়েক ঘণ্টা পর বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট রচ মার্ক কাবোরেকে আটক করার খবর পাওয়া যায়। বিদ্রোহী সৈন্যদের হাতে তিনি আটক হন।

ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, চার ধাপে ১৬ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থানীয় সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর বুরকিনাবে বাহিনী ও বিদেশি সহায়তাকারী সৈন্যরা ওই অঞ্চল থেকে ৬০ জনকে বের করে নিয়ে যান। তারা বিবৃতিতে আরও জানায়, বুরকিনাবে ইউনিট দ্বারা পরিচালিত ফরাসি বারখান বাহিনীর বিমান হামলায় প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল এবং অস্ত্রসহ বেশ কয়েকটি পিকআপ ধ্বংস করা হয়েছে।

ফ্রান্সের সামরিক বাহিনীর জানায়, বুরকিনাবে বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

গত সোমবার জাতীয় টেলিভিশনে উপস্থিত হয় দেশটির বিদ্রোহী সেনাদের একাংশ। সেখানে লেফটন্যান্ট কর্নেল পল হেনরি স্যানদাওগো দামিবার সই করা একটি বিবৃতি পাঠ করা হয়। সেখানেই ক্ষমতা দখলের কথা স্পষ্ট করে জানানো হয়। পাশাপাশি প্রেসিডেন্টকেও গ্রেফতারের কথাও জানানো হয়।

মূলত ২০১৬ সাল থেকে বুরকিনা ফাসোয় সংকট শুরু হয়। ২০১১ সালে লিবিয়ার সরকার পতন, মালির ২০১২ সালের গৃহযুদ্ধ, এরপর মৌরিতানিয়া, নাইজার এবং চাদের মতো অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোতেও সংঘাত ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। এর আগ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই ছিল বুরকিনা ফাসোর।

তবে দেশটির রাজনীতির পট পরিবর্তন হয় ২০১৬ সালে রাজধানীর একটি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বন্দুকধারীদের হামলায় ৩০ জন নিহত হওয়ার পর। প্রেসিডেন্ট বারোকের ক্ষমতাগ্রহণের পর পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে প্রথম বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা এটি।

আল-কায়েদা ইন দ্য ইসলামিক মাগরেব (একিউআইএম) এবং জামা'আ নুসরাত উল-ইসলাম ওয়া আল-মুসলিম (জেএনআইএম) এর মতো গোষ্ঠীগুলো বুরকিনা ফাসোর সুদূর উত্তরে মালির তিনিটি-সীমান্ত অঞ্চল এবং নাইজারে সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্যমতে, ২০১৯ সালে হঠাৎই হামলা ও সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যায়। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যেও। ইসলামিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর টার্গেটে পরিণত হয় সাধারণ মানুষও।

পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার একাধিক দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এর আগে মালি ও গিনির ক্ষমতা নিজেদের দখলে নিয়েছে দেশ দুটির সেনাবাহিনী। গত বছর যুদ্ধক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ইদরিস দেবি নিহত হওয়ার পর এ অঞ্চলটির আরেক দেশ চাদ শাসন করছে সেনা সরকার। সূত্র: এএফপি, ডয়েচে ভেলে

রাজশাহীর সময় / এফ কে


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]