কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরুর করা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের সমালোচনা করেছেন হাইকোর্ট। বলেছেন, একজন 'রং হেডেড' মানুষই কেবল এভাবে গালিগালাজ করতে পারে। সাংবাদিককে গালিগালাজের ঘটনায় ইউএনওর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না তা রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৪ জুলাই) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এ সময় আদালত বলেন, ‘একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর। কোনো 'রং হেডেড' ব্যক্তি ছাড়া কেউ এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে পারেন না। টেকনাফের ইউএনও মাস্তানদের চেয়েও খারাপ ভাষায় গালি দিয়েছেন।’
দুদক আইনজীবী বলেন, একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর। সাংবাদিক দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়েছিলেন, এজন্য ইউএনও তাকে গালিগালাজ করেছেন।
হাইকোর্ট বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকদের এসব কাজে উৎসাহিত করা উচিত।
সম্প্রতি টেকনাফের আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে একটি অনলাইন গণমাধ্যম। ‘নিচু জায়গায় নির্মাণ করা উপহারের ঘর পানিতে ভাসছে’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয় ‘কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা হোয়াব্রাং এলাকার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সব নতুন ঘর পানিতে ভাসছে। ফলে সেখানে থাকা ২৭টি পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।’
এ সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ওই গণমাধ্যমের কক্সবাজার প্রতিনিধির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন টেকনাফের ইউএনও।
এদিকে গালিগালাজের ঘটনায় ওই প্রতিনিধির কাছে অনুতপ্ত ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইউএনও। এ নিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক।
শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে হিলডাউন সার্কিট হাউসে জরুরি বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরাও খুব লজ্জিত। সূত্র: সময় টিভি
রাজশাহীর সময়/এ