সুন্দর ও সম্মানের জীবন বিধান ইসলাম। তাই মানুষের সঙ্গে সুন্দর জীবনাচার এবং সর্বোত্তম শিষ্টাচারের উপদেশও দেয় ইসলাম। সমাজে সম্মান ও মর্যাদার বড়ই অভাব। কেউ কাউকে সম্মান ও মর্যাদা দিতে জানে না। অথচ ধনী কিংবা গরিব, উঁচু কিংবা নিচু সবারই আছে সম্মান। কোরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ বিষয়টি খুব সুক্ষ্নভাবে তুলে ধরেছেন-
‘এমন অভাবী লোক আছে, যারা আল্লাহর পথে (ইবাদত ও মানবকল্যাণে) নিজেদের নিয়োজিত রাখার কারণে (উপার্জনের জন্য) দুনিয়া চষে বেড়াতে পারে না। সম্ভ্রান্ততার (মান-মর্যাদার) কারণে অনভিজ্ঞ লোকেরা তাদের অভাবহীন মনে করে। আপনি তাদের চিহ্ন দেখে চিনতে পারবেন। তারা মানুষের কাছে নির্লজ্জভাবে ভিক্ষা করে না। আর তোমরা যেকোনো ভালো জিনিস ব্যয় করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সে বিষয়ে অবগত আছেন।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৭৩)
পোশাক দেখে যেমন ভদ্র মানুষ চেনা দায় আবার আত্ম-মর্যাদাবোধের কারণে অভাবী মানুষও চেনা দায়। আবার অনেক সময় নিজেদের আপনজন, আত্মীয়-স্বজনও নিজেদের কাছে অবহেলিত। গরিব-অসহায় লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়। সুতরাং কারও কোনো উপকার করতে না পারলেও যে কাজটি করা জরুরি; তাহলো-
১. আপনজনকে ভালোবাসা;
২. গরিবকে সম্মান করা, গুরুত্ব ও মর্যাদা দেওয়া।
৩. উঁচু কিংবা নিচু সবাইকে ক্ষমা করা।
৪. আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া।
৫. তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখি। হোক গরিব কিংবা ধনী।
৬. নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিসের ওপর আমল করা-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমার সঙ্গে যে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ো; তোমার প্রতি যে অবিচার করে, তাকে ক্ষমা করো।’ (তিরমিজি)
৭. পরস্পর রহমত, মাগফেরাত তথা দয়া ও ক্ষমার চর্চা করা।
৮. নিজেদের রাগ ও প্রতিশোধপরায়ণ হওয়া থেকে বিরত রাখা। এ কথা মনে রাখা যে- ক্রোধ ও প্রতিশোধপরায়ণ হওয়া শয়তানের বৈশিষ্ট্য।
৯. আল্লাহর সব বান্দার সঙ্গে সুসম্পর্ক ও বন্ধুত্ব গড়ে তোলা।
১০. সবার সঙ্গে সদচারণ ও দেখা-সাক্ষাতে পারস্পরিক সালাম ও কুশলাদি বিনিময় করা।
১১. উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে আল্লাহর সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত আচরণগুলো নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
রাজশাহীর সময় / এফ কে