ব্রিটেন, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পরে এবার রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে ইতালিতে । সূত্রের খবর, জোট শরিকদের সমর্থন না পেয়ে পদত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি।
সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেলার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। ইতালির জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মারিও দ্রাঘি। জোট সরকারের তিন সঙ্গী সরকারের প্রতি সমর্থন তুলে নেওয়ায় কারণেই তিনি পদত্যাগ করেন বলে খবর। পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত দ্রাঘির প্রশাসন ভারপ্রাপ্ত সরকার হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, এর পর প্রেসিডেন্ট সে দেশের আইনসভা ভেঙে দিতে পারেন। অন্তর্বর্তী নির্বাচন ঘোষণা করতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
করোনাভাইরাস মহামারীর মতো আছড়ে পড়েছিল ইতালিতে। এরপর সে দেশের অর্থনৈতিক সংকটও চরমে ওঠে। এর মধ্য়ে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার পরে অস্থিরতা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির মাতারেলা আইনসভা ভেঙে দেবেন নাকি আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানাবেন, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি। নিয়ম মতো ২০২৩ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।আগাম ভোট হলে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে নির্বাচন হতে পারে।
৭৮ বছরের মারিও দ্রাঘি ইতালির বেশ জনপ্রিয় নেতা। তাঁকে ‘সুপার মারিও’ বলে ডাকা হয়। পপুলিস্ট দল ফাইভস্টার পার্টি গত কয়েক মাস ধরেই দ্রাঘি প্রশাসনের বিরোধিতা করছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারাই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল। গত সপ্তাহে, দ্রাঘির আনা একটি বিলের ওপর আস্থা ভোট এড়িয়ে যায় তারা। এর পরেই রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগের প্রস্তাব দেন দ্রাঘি। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছিলেন, দেশের জনতা তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। তাই থেকে যান তিনি। কিন্তু এবারে আর তা হয়নি। বুধবারই ইতালির জোট ভেঙে পড়ে। দ্রাঘির প্রধান তিনজন জোটসঙ্গী একটি আস্থা ভোট বাতিল করেন। তারপরই এদিন নিজের দায়িত্ব থেকে সরে আসেন দ্রাঘি।