প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় স্কুল ছাত্রীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারনকারী মোঃ ফারুক(২০)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
বুধবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়োজিদ থানাধীন আজাদ কলোনী দীঘিরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত বান্দরবান জেলার লামা থানাধীন বুড়ির ঝুম গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ ফারুক।
বুধবার (২০ জুলাই) রাতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী ভিকটিম বান্দরবান জেলার লামা থানার একটি স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ৮ জানুয়ারি ২০২২ সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টায় ভিকটিম স্থানীয় এক শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ী হতে বের হয়ে রাস্তার মাথায় পোঁছালে স্থানীয় বখাটে যুবক ফারুক তাকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করতে করতে এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দ্বারা ভয় দেখিয়ে হাত ধরে টেনে হিছড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় আসামী ছুরি দিয়ে হত্যার হুমকি প্রর্দশন করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিওচিত্র তার মোবাইলে ধারণ করে। আসামী ভিকটিমকে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র দেখিয়ে হুমকি প্রদান করে সে যদি তার সাথে পূনরায় শারীরিক সর্ম্পক না করে তবে সে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৯ তারিখঃ-২৩/০১/২০২২ খ্রিঃ ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/ ২০০৩) ৯(১) তৎসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮(১)।
মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তার অনুরোধে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রাখে। গোয়েন্দা নজরদারীর এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার আসামী চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়োজিদ থানাধীন আজাদ কলোনী দীঘিরপাড় এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ফারুক(২০) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী উল্লেখিত মামলার এজাহার নামীয় একমাত্র আসামী বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজশাহীর সময়/এ