নোয়াখালীর সূবর্ণচরে বিয়ের প্রলোভনে এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষকের মা আমেনা বেগমকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে গ্রেফতার আমেনা বেগমকে আদালতে সোপর্দ এবং ভুক্তভোগী মাদরাসা ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় মাদরাসার ছাত্রীর বড়বোন (২৪) বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মামুনের মা আমেনা বেগমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আমেনা বেগম চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামের আবদুর রশিদের স্ত্রী। মামলার প্রধান আসামি মো. মামুন (২২) তার বড় ছেলে।
সূবর্ণচরের চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাস মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলার (নম্বর-৭) এজাহারভুক্ত আসামি এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী (১৬) চরক্লার্ক বাংলা বাজার দাখিল মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে চরক্লার্ক গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মো. মামুন প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এক পর্যায়ের তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামিদের সহযোগিতায় মামুন ওই ছাত্রীকে একধিকবার ধর্ষণ করেন।
৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১১টায় বিয়ের কথাবর্তা বলার জন্য ডেকে পুকুরপাড়ে নিয়ে মামুন পুনরায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় ছাত্রীর চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে গেলে মামুন পালিয় যান।
মামলার বাদী জানান, ঘটনাটি মামুনের পরিবারকে জানালে তার মা আমেনা বেগমসহ তাদের সহযোগী দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে মো. ইব্রাহিম খলিল (৩০) ও পূর্ব চরবাটা গ্রামের বাহার মাস্টারের ছেলে মো. সোহেল (২৬) বিয়ে করানোর আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে মামলার আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে আইনগত প্রতিকার পেতে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর সময়/এম