সেশনজটে পড়েছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) অধিভুক্ত ১৫টি নার্সিং কলেজের চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী। তারা একাধিকবার নার্সিং অনুষদের ডিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও নেয়া হয়নি কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ। অবিলম্বে সেশনজট নিরসনে লিখিতভাবে দাবি জানিয়ে ইতোমধ্যে তারা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। সোমবার বিকেলের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে রাজপথে নেমেই দাবি আদায় করবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজশাহী নার্সিং কলেজ চত্বরে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজশাহী নার্সিং কলেজের বিএসসি কোর্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। এ সময় একই বর্ষের শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদিন, পারভেজ আহমেদ, রহিমা খাতুন, সাখাওয়াত হোসেন, সাথী আক্তার, ফাতেমা পারভিনসহ বিভিন্ন বর্ষের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা জানান, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে অনিশ্চয়তায় ১৫টি নার্সিং কলেজের ২০১৭-২০১৮, ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১ সেশনের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ। সেশনজট তৈরি হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বারবার আশ্বাস দিয়েই কালক্ষেপণ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়েই বিএসসি সম্পন্ন করার পথে একই সেশনের শিক্ষার্থীরা। অথচ গাফিলতির কারণে রামেবির শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছেন দেড় বছর। নার্সিং অনুষদের ডিনকে বারবার মৌখিক ও লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হলেও নেয়া হয়নি কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ।
নার্সিং শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বর্তমানে প্রথম বর্ষেই অধ্যয়নরত রয়েছে দুটি ব্যাচ। আরেকটি ব্যাচ সামনে কয়েক মাস পর আসবে, তখন তিনটি ব্যাচ হবে শুধুমাত্র প্রথম বর্ষেই। অথচ কর্তৃপক্ষ এখনো নির্বিকার। শিক্ষার্থীরা বলেন, সেশনজট নিরসনে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে সর্বশেষ গত বুধবার লিখিতভাবে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি আমরা। সোমবার বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এ সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ না নিলে রাজপথে লাগাতার আন্দোলন শুরু করা হবে। মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল ছাড়াও প্রয়োজনে শাবিপ্রবির চেয়েও কঠোর আন্দোলনের জন্য আমরা প্রস্তত।
এ বিষয়ে রামেবির নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রবিউল ইসলাম শাহ বলেন, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে সেশনজট তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আলোচনা চলমান। সবশেষ রবিবারও আমরা মিটিং করেছি। শীঘ্রই যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ব্যাপারে রামেবির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ জে এম মোস্তাক হোসেন বলেন, দ্রতই বিষয়টি সমাধান করা হবে। এসব নিয়ে আন্দোলন করার প্রয়োজন নেই।
রাজশাহীর সময় /এএইচ