দেশের রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রীর আবাস সবই এখন জনতার দখলে।বিক্ষোভ যেন থামছেই না শ্রীলঙ্কায় ! শনিবার থেকে লাগাতার চলছে বিক্ষোভ। রাষ্ট্রপতি বাড়ি ছেড়েছে, প্রধানমন্ত্রীও নেই, এমন পরিস্থিতিতে তাঁদের বাড়িতে চলছে জনতার লাফালাফি। কখনও রাষ্ট্রপতির সুইমিং পুলে সাঁতার কাটছে, আবার কখনও কোষাগার থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা বার করছে বিক্ষোভকারীরা, এমনই নানা দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। এরই মধ্যে দৃশ্যের ভিডিও দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীর বিছানায় চলছে দুই বিক্ষোভকারীর মধ্যে কুস্তি।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সুসজ্জিত বিছানায় লুটোপুটি খাচ্ছেন দু’জন। যেন নিজেদের মধ্যেই কুস্তি লড়ছেন তাঁরা। আর বিছানাটা তাঁদের কুস্তির রিং। চলছে পা ছোড়াছুড়ি, একে অপরকে আক্রমণ। শুধু তাই নয়, আছেন রেফারিও। নিয়মে ভুম হলেই সমঝে দিচ্ছেন ‘খেলয়াড়’দের। সবটাই মজার ছলে।
আর্থিক সঙ্কটের তছনছ হয়ে গেছে পুরো শ্রীলঙ্কা। বিগত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন দেশের মানুষ। তীব্র খাদ্য সংকট যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে জ্বালানির টানাটানি। অন্ধকারে ডুবে একাধিক এলাকা। সারা দেশের যাত্রী পরিবহণ থেকে পণ্য পরিবহণ কার্যত স্তব্ধ। সব মিলিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে যেন দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি।
দেশের মানুষের ধৈয্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। গত বৃস্পতিবার রাত থেকে প্রতিবাদের ভাষা পাল্টে ফেলেছেন দেশের মানুষ। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষুব্ধ মানুষ জড়ো হতে শুরু করে রাজধানী কলম্বোয়। ঘিরে ফেলতে থাকে রাষ্ট্রপতি ভবন। সেই রাত থেকেই বেপাত্তা দেশের রাষ্ট্রপতি গোটাবেত রাজাপক্ষ। কোথায় তিনি উত্তর নেই কারোর কাছেই।
তবে, বিক্ষোভের মুখে মাথা নত করেছেন তিনি। আগামী বুধবার, ১৩ জুলাই তিনি ইস্তফা দেবেন বলে জানা গেছে। এদিকে, আন্দোলনকারীদের রোষের মুখ থেকে বাদ যাননি প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। উত্তেজিত জনতা দখল নিয়েছে তাঁর বাড়িও। সেখানেই চলছে তাণ্ডব।