প্রস্রাব শরীরের সুস্থতার ইঙ্গিত দেয়। প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে নানা ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে যায়। তবে অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে প্রস্রাব চেপে রাখার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাস ঢেকে আনতে পারে মারাত্মক সমস্যার। ১০-১৫ মিনিট প্রস্রাব চেপে রাখলে তেমন সমস্যা নেই। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রস্রাব চেপে রাখলে দেখা দিতে পারে ঘোর সমস্যা। সেক্ষেত্রে আপনার এই অভ্যাস আজই বদলান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেকেরই উচিত প্রস্রাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টয়লেট করে ফেলার। জল পান করার পর শরীরের প্রয়োজনের ব্যতিত বাকিটা কিডনিতে জমা হয়। এরপর শরীরের অন্যান্য খারাপ উপাদানের সঙ্গে জল ব্লাডারে জমে।
ব্লাডার যখন পূর্ণ হয় জলে তখনই ব্রেইনে সংকেত যায় প্রস্রাব পেয়েছে। সেই সংকেত পাওয়ার পরই মূত্রত্যাগ করা জরুরি। জেনে নিন প্রস্রাব চেপে রাখলে সেব ক্ষতি হতে পারে-
কিডনি থেকে বের হওয়ার পর মূত্র যায় ব্লাডারে। সেখানেই জমে মূত্র। আমাদের ব্লাডার একবারে ৪০০-৫০০ মিলিমিটার মূত্র ধরে রাখতে পারে। যার পরিমাণ মোটামুটি দুই কাপ। এর বেশি হলেই ব্লাডারের উপর চাপ পড়ে।
> তাই এ পরিমাণ মূত্র ব্লাডারে পৌঁছালেই তা খালি করে দেওয়া উচিত। যদিও এক-দুইদিন এমন সমস্যা হলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। তবে দিনের পর দিন এমনটি হলে ব্লাডারের উপর মারাত্মক চাপ পড়ে। এরপর ব্লাডারের অসুখ হতে দেখা যায়।
ধরুন আপনি রোজই প্রস্রাব চেপে রাখছেন। এর মাধ্যমে ব্লাডারের অসুখ হওয়া খুব স্বাভাবিক। তবে এক্ষেত্রে একটা সময়ের পর ব্লাডার নিজের ক্ষমতাও হারাতে থাকে। তখন প্রস্রাব ধরে রাখলে তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। তাই এ অভ্যাস থেকে আজই মুক্তি পাওয়া উচিত।
>> ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআিই খুবই জটিল ধরনের এক সংক্রমণ। এক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ টয়লেট চেপে রাখার কারণে মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।
প্রস্রাব চেপে রাখলে জীবাণুরা শরীরে বেশিক্ষণ থাকার সুবিধা পায়। তখন দেখা দেয় নানা সমস্যা। এক্ষেত্রে প্রস্রাব করার সময় জ্বালা, ইউরিনের রং বদলে যাওয়া, তলপেটে ব্যথা, ইউরিনে গন্ধ ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়।
দিনে কতবার প্রস্রাব করবেন?
যদিও এ বিষয়টি একেকজনের শরীরের উপর নির্ভর করে। ফলে প্রস্রাবও সবার শরীরে সমান তৈরি হয় না। তবে দিনে ৪-১০ বার প্রস্রাব হলো স্বাভাবিক।
এক্ষেত্রে ৬-৮ বার হলো প্রস্রাবের গড়। সুস্থ থাকতে প্রস্রাব পেলেই দ্রুত টয়লেটে যেতে হবে। না হলেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
রাজশাহীর সময়/এএইচ