টুইটার কিনছেন না ইলন মাস্ক। তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক শুক্রবার (৮ জুলাই) জানিয়েছেন, তিনি টুইটারের সঙ্গে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিটি স্বাক্ষর করছেন না। তার অভিযোগ এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিটি ভুয়া অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
এ ছাড়া এক চিঠিতে ইলন মাস্কের আইনজীবী বলেন, ভুয়া অ্যাকাউন্টের তথ্য জানাতে অসম্মতি জানানোর পাশাপাশি টুইটার তার স্প্যাম বট মোট ব্যবহারকারীর ৫ শতাংশের কম থাকার বিষয়টির প্রমাণ দিতে পারেনি।
এর আগে গত মে মাসে টুইটার কেনার চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করেন ইলন মাস্ক। তখন তিনি ঘোষণা দেন, টুইটারে স্প্যাম ফেইক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা 'পাঁচ শতাংশের নিচে' কিনা এটা জানার অপেক্ষায় আছেন।
৪৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিটি বাতিলের পরই টুইটারের শেয়ারের ৭ শতাংশ পতন ঘটেছে। এর আগে মাস্ক এপ্রিলে প্রতি শেয়ারের দাম ৫৪ দশমিক ২০ ডলার বলেছিলেন।
যদি চুক্তিটি শেষমেষ বাতিলই হয় তবে টুইটারকে ইলন মাস্ককে ১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে। এর আগে ৬ জুন টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে চুক্তি বাতিলের হুমকি দেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।
আইনজীবীদের মাধ্যমে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, টুইটার কর্তৃপক্ষ তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি (তথ্য সরবরাহের) রাখেনি, যা নিয়মভঙ্গের শামিল। তাই যেকোনো মুহূর্তে এ চুক্তি থেকে সরে আসার অধিকার রাখেন ইলন মাস্ক।
প্রয়োজনীয় তথ্য না পেলে চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানালেও টুইটারকে আরও কিছুদিন সময় দিতে চান টেসলার কর্ণধার। তাই আপাতত এ চুক্তি স্থগিত রেখেছেন তিনি।
ইলন মাস্কের টুইটার কেনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তোলপাড় বিশ্ব। সম্প্রতি টেসলা প্রধান ও টুইটারের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। টুইটার কিনে নিতে ইলন মাস্কের ৪৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করার প্রক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মামলাটি করেন উইলিয়াম হেরেসনিয়াক নামে মাইক্রো ব্লগিং এ সাইটটির একজন বিনিয়োগকারী।
গত ২৫ মে দায়ের করা ওই মামলার আবেদনে বলা হয়, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার করপোরেট আইন লঙ্ঘন করেছেন ইলন মাস্ক। তিনি বাজারের কারসাজিতে যুক্ত রয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
এরপর ২৭ মে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ৫৪ দশমিক ২০ ডলার দরে টুইটারের শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। চুক্তির অর্থায়নের জন্য ঋণের জামানত হিসেবে টেসলার হোল্ডিংগুলোর একটি অংশ বিক্রি করেছিলেন তিনি।
কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকে টুইটারের শেয়ারের দাম ১২ শতাংশের বেশি কমেছে। আর গত ২৫ মে টেসলার শেয়ারের দাম কমে যায় ৪০ শতাংশের বেশি।
রাজশাহীর সময়/এএইচ