নিহত হাফিজুল ছালাকান্দা গ্রামের ফুল মিয়া চৌধুরীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে পাস করে ময়মনসিংহ জজ কোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছর ধরে হাফিজুল ও ফারুকদের মাঝে বিরোধের জেরে ৫ মামলা চলমান রয়েছে। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে হাফিজুলের বাবা ফুল মিয়া চৌধুরীর সঙ্গে একই গ্রামের ফারুক মিয়ার লোকজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরে দুপুরে হাফিজুল মুতিয়াখালী বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় প্রতিপক্ষ ফারুক মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালেই তার লোকজন হাফিজুলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক নয়ন ঘোষ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছালাকান্দা গ্রামে এক যুবক খুন হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।