সোমবার থেকে কেঁপেই চলেছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। গতকাল সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট ২৪ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে আন্দামান ও নিকোবরে। প্রতিবার কম্পনের পরে আফটার শকও চলছে। ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি, তবে ধারাবাহিক কম্পনে উদ্বেগ বেড়েছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানাচ্ছে, আজকের সবচেয়ে বড় কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.০। গতকালের ধারাবাহিক কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৬ থেকে ৪.৫। লাগাতার কম্পন হলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন বিরাট কিছু হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, এমনিতে ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল বলেই পরিচিত আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। ছোটখাটো কম্পন লেগেই থাকে। দিনে দু’-তিনবার ভূমিকম্প নতুন কিছু নয় সেখানে। তবে ২৪ ঘণ্টায় ২৪ বার কম্পন এই প্রথম। প্রথম কম্পনের শক্তি ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৬। কয়েক মিনিট পরে হয় ৪.৫ মাত্রার একটি কম্পন। কিছু ক্ষণ বিরতি দিয়ে ফের কম্পন অনুভূত হয় আরও সাত বার। এইভাবে ধারাবাহিকভাবে কম্পন হয়েই চলে।
আন্দামান-সুমাত্রা অঞ্চলে মাটি ও সমুদ্রের নীচের ভূস্তর কতটা অস্থির হয়ে রয়েছে, এই লাগাতার কম্পনই তার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন ভূপদার্থবিজ্ঞানীরা। আন্দামানে শেষ বড় ভূকম্প হয় ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। সমুদ্রের নীচে ৯.২ মাত্রার সেই কম্পনে সুনামি হয়েছিল। এক দিকে ভূমিকম্প, অন্যদিকে সুনামি এই জোড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আন্দামান। সেই ভূকম্পের জেরে গোটা এলাকায় মাটির নীচে অস্থিরতা বহু গুণ বেড়ে গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তার ফলে ছোট ছোট কম্পন হয়েই চলেছে বলে জানাচ্ছেন ভূপদার্থবিদেরা।