ভালবাসার কাছে বাকি সবই যে তুচ্ছ, তা ফের একবার প্রমাণ করলেন আমেরিকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব চেরিল ম্যাকগ্রেগর। ভালবেসে তিনি বিয়ে করেছেন হাঁটুর বয়সি যুবক বছর চব্বিশের কুরান ম্যাককেইনকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বৃদ্ধার কাহিনি ভাইরাল হতেই চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের। কেউ কেউ শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন দম্পতিকে। আবার অনেকের কটাক্ষের শিকারও হয়েছেন দুজন।
জানা গিয়েছে যে, ৬১ বছরের বৃদ্ধা চেরিলের সঙ্গে ২৪ বছরের কুরানের প্রথম আলাপ হয় ২০১২ সালে। কুরানের তখন সবে ১৪ বছর বয়স। যে রেস্তোরাঁতে দুজনের আলাপ হয়, ঘটনাচক্রে সেটির ম্যানেজার চেরিলেরই ছেলে। সেই আলাপের পর থেকেই ধীরে ধীরে একে অপরের ঘনিষ্ঠ শুরু করেন চেরিল ও কুরান। শুনতে অবাক লাগলেও কুরান প্রায় চেরিলের নাতিরই বয়সি।
অবশেষে ৯ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর গতবছর, অর্থাৎ ২০২১-এর সেপ্টেম্বর মাসে কুরান ও চেরিল বিয়ে সেরে ফেলেন। এই ঘটনা দুইজনের পরিবারে জানাজানি হতে সকলেই অবাক বনে যান। কিন্তু প্রথমে অনেকেই হয়ত জানতে পারেননি এই বিয়ের নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। যা নিয়েই নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, চেরিল কুরানকে বিয়ে করেছেন নতুন সন্তানের জন্য। ইতিমধ্যেই তিনি সাত সন্তানের মা। এবার অষ্টম সন্তান পাওয়ার জন্যেই ফের বিয়ে করেছেন, সূত্রের খবর এমনই। তবে এই বয়সে এসে শারীরিকভাবে তিনি নতুন সন্তান ধারণে হয়ত সক্ষম হবেন না। তাই সারোগেসির মাধ্যমে নতুন সন্তান চেয়েছেন চেরিল। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় তাঁদের খরচা হবে প্রায় ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা।