সকলেই বোধহয় সুন্দর-ছিপছিপে ফিগার পেতে চান! আর এক্ষেত্রে সাধারণত বলিউডের সুন্দরীদের দেখেই সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণিত হয়। ছবির লুকের প্রয়োজনে অনেক সময় ওজন বাড়ানো অথবা কমানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় টিনসেল টাউনের নায়িকাদের। এমন উদাহরণ রয়েছে ভূরি-ভূরি। আসলে বলিউড সেলেব সুন্দরীরা হলেন ট্রেন্ড সেটার। সে ফ্যাশনেই হোক কিংবা ওয়ার্ক আউট অথবা ডায়েটেই হোক! সব সময় আমরা তাঁদেরকেই অনুসরণ করার চেষ্টা করে থাকি। তাই আজ আলোচনা করব বি-টাউনের কিছু সুন্দরীর দ্রুত ওজন কমার গোপন রহস্যের বিষয়ে। কথা না-বাড়িয়ে সরাসরি চলে আসা যাক প্রসঙ্গে।
আমরা কম-বেশি সকলেই জানি যে, রুপোলি পর্দার জগতে পা রাখার আগে প্রায় ৩০ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন-কন্যা! আর তার জন্য তিনি ডায়েট থেকে পুরোপুরি বাদ দিয়েছিলেন জাঙ্ক ফুড, কার্বোহাইড্রেট, কৃত্রিম স্যুইটনার। এর পরিবর্তে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারেই মনোনিবেশ করেছিলেন নায়িকা। সন্ধের ৬টার পরে তিনি কোনও রকম কার্বোহাইড্রেট খান না।
এর পাশাপাশি ঘাম ঝরাতে এক্সারসাইজের কড়া রুটিন মেনে চলেন। সকালে উঠেই অভিনেত্রী গ্রিন টি খেয়ে দিন শুরু করেন। এর পর ব্রেকফাস্টে হোল হুইট টোস্ট, দুধ অথবা সিরিয়াল খান। আর দুপুরে সোনাক্ষী পছন্দ করেন হাতে গড়া রুটি, তরকারি এবং স্যালাড। আর ডিনারটা বেশ তাড়তাড়িই সারেন নায়িকা। রাতের খাবারে তিনি পছন্দ করেন ডাল, তরকারি, চিকেন এবং মাছ।
নিজের সুন্দর ছিপছিপে ফিগার ধরে রাখতে নিয়মিত জিম করেন তন্বী সুন্দরী জ্যাকলিন। শুধু তা-ই নয়, বাড়িতেও করেন ওয়ার্কআউট। সেই সঙ্গে মেনে চলেন কঠোর খাদ্যাভ্যাসও। সকালে লেবু জল খেয়ে দিনটা শুরু করেন অভিনেত্রী। এর পর প্রায় ৮টা নাগাদ ব্রেকফাস্ট। আর ডিনার সেরে নেন সন্ধে ৭টার মধ্যেই। আসলে জ্যাকলিন ইন্টারমিটেন্ট ডায়েট প্ল্যান মেনে চলেন। নায়িকার খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফল থাকে।
দম লাগাকে হাইশা-র গোলগাল ভূমি পেড়নেকরকে মনে আছে তো? সেই ভূমিকে এখন চেনাই দায়! ছবির স্বার্থে তাঁকে ওজন বাড়াতে হয়েছিল। তবে ছবির পর আবার দ্রুত ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হয়েছেন ভূমি। বরাবরই স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন নায়িকা। আর নিজেও বাড়িতে তৈরি খাবার অথবা স্মুদি খেতেই বেশি পছন্দ করেন। আর এটাই তাঁর ছিপছিপে সুন্দর ফিগারের গোপন রহস্য। কঠোর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার পাশাপাশি রিফাইন করা চিনি, কার্বোহাইড্রেট এবং অ্যালকোহল এড়িয়েই চলেন ভূমি।
বলিউডে অভিষেকের প্রথম দিকে বেশ গোলগাল চেহারার ছিলেন পরিণীতি। কিন্তু সেই ওজন ঝরিয়ে ভক্তদের রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নায়িকা। কঠোর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার পাশাপাশি কেরলের মার্শাল আর্টস কালারিপায়াত্তু শিখেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার অভিনেত্রী বোন।
খাবারের ক্ষেত্রে পরিণীতি ব্রাউন ও অর্গানিক বিকল্প বেছে নিয়েছেন এবং ডিটক্স প্রোগ্রাম মেনে চলেন। সকালের খাবারে পরিণীতি এক গ্লাস দুধ, অল্প মাখন দিয়ে ব্রাউন ব্রেড, দুটো ডিমের সাদা অংশ এবং ফলের জ্যুস খান। এর পর দুপুরে ব্রাউন রাইস, সবুজ স্যালাড ও শাক-সবজি দিয়ে তৈরি তরকারির মতো ঘরোয়া খাবারই খান তিনি। আর ডিনারে মাঝেমধ্যে চকোলেট শেক কিংবা কম ক্যালোরি যুক্ত বা লো-ক্যালোরি খাবারই খান পরিণীতি।