শারীরিক সমস্ত প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা মসৃণ রাখার জন্য হাইড্রেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেঁচে থাকার জন্য অন্যান্য পুষ্টির মতোই জল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সাধারণ পরামর্শ আমরা শুনে থাকি তা হলো প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করতে হবে। কিন্তু শুধু পর্যাপ্ত জল পান করলেই হবে না। আমরা সবাই জল পানের সময় কিছু সাধারণ ভুল করে থাকি যা আমাদের সমস্যায় ফেলতে পারে। জেনে নিন জল পানের সময় কোন পাঁচটি ভুল এড়াতে হবে-
দাঁড়িয়ে জল পান করা: কে কে দাঁড়িয়ে জল পান করেন? আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই এটি করে থাকে। আমাদের নানি-দাদিরা সবসময় মনে করিয়ে দিতেন যে বসে থাকা অবস্থায় জল পান করা উচিত। দাঁড়িয়ে জল পান করলে স্নায়ুতে টান পড়ে, তরলের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং বদহজম হতে পারে। আয়ুর্বেদও দাড়িয়ে জল না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, আপনি যখন দাঁড়িয়ে জল পান করেন, তখন তা পেটের নিচের অংশে চলে যায় এবং আপনাকে পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে না।
খুব দ্রুত পান করা: এমন অনেক সময় আছে যখন আমরা তাড়াহুড়ো করি বা খুব তৃষ্ণার্ত থাকি তখন খুব দ্রুত জল পান করি। এটি কিডনি এবং মূত্রাশয়ের নিচে জমতে পারে। ফলস্বরূপ দেখা দিতে পারে হজমে সমস্যা। ভালো হজমের জন্য ছোট ছোট চুমুক দিয়ে ধীরে-সুস্থে পান করুন
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জল পান করা: জল পান করা জরুরি বলে অনেকে আবার বেশি বেশি জল পান করে ফেলেন। কিন্তু অতিরিক্ত জল পানের স্বাস্থ্য উপকারিতার কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত জল পানের কারণে হাইপোনাট্রেমিয়া হতে পারে যাকে জলর নেশাও বলা হয়, এই অভ্যাস শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা খুব কম বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে মস্তিষ্ক ফুলে যায়, খিঁচুনি হতে পারে।
খাবার আগে জল পান করা: অনেক ওজন কমানোর ডায়েটে খাবারের আগে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে আপনি কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন। কিন্তু এটি করা ঠিক নয়। পুষ্টিবিদরা বলেন, আমাদের পাকস্থলী ৫০ শতাংশ খাবার, ২৫ শতাংশ জল এবং ২৫ শতাংশ খালি রাখতে হবে। এতে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ থাকে। খাবারের ঠিক আগে জল পান করলে তা আপনাকে পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করতে পারে এবং হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে। এটি বমি বমি ভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যেরও কারণ হতে পারে।
মিষ্টি যোগ করে খাওয়া: কৃত্রিম মিষ্টি ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এগুলো সুস্বাদু হতে পারে তবে সেইসঙ্গে শরীরকে ডিহাইড্রেটও করতে পারে। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখার সর্বোত্তম উপায় হলো শুধু জল পান করা।
রাজশাহীর সময়/এএইচ