বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি সঙ্কট চরমে। তার জেরে নিত্যদিন দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নাগরিকেরা। এবার জ্বালানি তেলের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল শ্রীলঙ্কা সরকার। শুধু আপৎকালীন পরিষেবায় যুক্ত গাড়িগুলি একমাত্র পেট্রল, ডিজেল পাবে।
সরকারি মুখপাত্র বান্দুলা গুনাওয়ারদানা জানিয়েছেন, জরুরি পরিষেবা ছাড়া দেশের কোথাও জ্বালানি তেল বিক্রি করা হবে না। শুধু জরুরি অবস্থার জন্যই জ্বালানি তেল দেওয়া হবে।
ভয়াবহ আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা । দেশে জ্বালানি সঙ্কট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অফিসের কাজও চলছে বাড়ি থেকে। সাধারণ মানুষকে যৎসামান্য পেট্রোল-ডিজেল কেনার জন্য টোকেন দিচ্ছে সেনা। তেল কিনতে মাইল খানেক লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে জনতাকে।
থিকথিকে ভিড় শপিং মলে, আছড়ে পড়ল রুশ মিসাইল, দাউদাউ আগুনে ঝলসে মৃত্যু অন্তত ১৬ জনের
শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্কট এতটাই বেহাল যে, বিদেশ থেকে প্রয়োজন মতো জ্বালানি আমদানি করতে অপারগ প্রশাসন।বাড়ন্ত ওষুধ, খাবারও। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় তলানিতে ঠেকায় দু’টি জাহাজে করে বাইরে থেকে তেল এলেও, ডলারের অভাবে তা হাতে নেওয়া যাচ্ছে না বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী উদয় গমনপিলা। জ্বালানি সঙ্কটের কারণে রাজধানী কলম্বো-সহ দেশের বিভিন্ন অংশে পেট্রোল পাম্পগুলিতে পড়ছে দীর্ঘ লাইন। সরবরাহ বাড়ন্ত হওয়ায় অশান্তির ঘটনাও ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে পেট্রোল পাম্পগুলিতে নজরদারির জন্য সেনা নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে। রান্নার গ্যাসের অভাবেও বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভের জেরে অশান্তি ঘটেছে।