সাংবিধানিক আকাংখার বাংলাদেশ গঠনে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার তথা একটি উদার, অসাম্প্রদায়িক, বহুত্ববাদি চেতনা এবং শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশে গড়ার প্রত্যয়ে পত্নীতলায় বৈচিত্র্যের মিলনমেলা অনুষ্ঠত হয়েছে। মঙ্গলবার বেসরকারী স্বেচ্ছাব্রতি সংস্থা দি হাঙ্গার প্রজেক্টের অনুপ্রেরণায় সৃষ্ট উপজেলা ইয়ূথ নেটওয়ার্ক এবং আন্ত:ধর্মীয় ফোরাম এর আয়োজনে উপজেলা সদর নজিপুরে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় এই মিলনমেলা আয়োজন করা হয়।
বৈচিত্র্যের মিলনমেলার আহবায়ক মোঃ আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পত্নীতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পত্নীতলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল গাফ্ফার। অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বদিউল আলম মজুমদার। মিলনমেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নজিপুর পৌরসভার মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরী বাবু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ রাহাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা, সুজন নওগাঁর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, পত্নীতলা উপজেলা সুজন ও পত্নীতলা প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী, নওগাঁ জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সাদেক উদ্দীন আহম্মেদ, প্রভাষক অশ্বিনী রায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-বনো লইয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য চৌধুরী ব্রেলভীর আহম্মেদ, সুজন নওগাঁর সাধারন সম্পাদক এ.কে সাজু, সুজন পত্নীতলার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মাটিন্দর ইউপির চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের নওগাঁ জেলা সমন্বয়কারী আছির উদ্দীন সহ আন্ত:ধর্মীয় ফোরাম এবং ইয়ূথ নেটওয়ার্কের সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, সুধীজন প্রমুখ।
এসময় ড. বদিউল আলম মুজমদার শান্তিপূর্ণ পত্নীতলা উপজেলার অব্যাহত উন্নয়নধারা ত্বরান্বিত করতে একটি ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিলে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং উপস্থিত অংশগ্রহণকারীগণ স্বাক্ষর করেন এবং বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য ঘোষণা করে মহান মুক্তিযুদ্ধের উদার, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ সমুন্নত রাখতে, নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে, যুব সমাজকে মাদকের অপব্যবহার, জঙ্গীবাদ বা অন্যান্য অপকর্ম থেকে রক্ষা করতে সকল সরকারী, বেসরকারী, ও সামাজিক-সংস্কৃতিক-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে এই সংলাপের সাথে সম্পৃক্ত করার প্রত্যয়ে শপথ পাঠ করেন। পরে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং আদিবাসিদের নৃত্য ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়।
বিকালে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিটন সরকার উপস্থিত থেকে ৈেবচিত্র্যের মিলনমেলায় বিতর্ক প্রতিযোগিতা, চিঠি লিখা প্রতিযোগিতা এবং সামাজিক সম্প্রীতি অলিম্পিয়াডে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন।