দক্ষিণ আফ্রিকার পানশালায় একসঙ্গে ২২ জন কিশোর-কিশোরীর রহস্য মৃত্যু হয়েছে ৷ হাই স্কুলের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শনিবার রাতে ওই পানশালায় আনন্দ করতে জড়ো হয়েছিল মৃত কিশোর- কিশোরীরা ৷ মৃত্যুদের অধিকাংশেরই বয়স ১৩ থেকে ১৮-র মধ্যে৷
এ ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্ট লন্ডন শহরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ মৃতদের কারও শরীরেই বাইরে থেকে কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি বলেই দাবি পুলিশের ৷ আবার পদপিষ্ট হওয়ার মতো কোনও ঘটনাও ঘটেনি ৷ ফলে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ দেহগুলি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে৷
ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ওই পানশালার বাইরে জড়ো হন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছান সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷ মর্গে গিয়ে একসঙ্গে এতজন কিশোর- কিশোরীর মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন দেশের পুলিশমন্ত্রী ভেকি সেলেও ৷ তিনি বলেন, 'ওরা প্রত্যেকেই এত অল্প বয়সি ৷ কারও বয়স ১৩, কারও ১৪ ৷ আর তাদের এই অবস্থায় দেখা যায় না ৷ এটা একটা ভয়াবহ দৃশ্য৷'
ইস্টার্ন কেপের স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৭ জনকে পানশালার ভিতর থেকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৷ বাকিদের মৃত্যু হয় হাসপাতালে ৷ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাও৷ আবার সংবাদসংস্থা রয়টার্সের দাবি, পানশালার ভিতর থেকে ২১ জনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৷
দক্ষিণ আফ্রিকার শহরতলিগুলিতে অনেক ক্ষেত্রেই বাড়ির ভিতরে পানশালার ব্যবস্থা করা হয় ৷ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ১৮ বছরের নীচে মদ্যপান নিষিদ্ধ ৷ কিন্তু এই ধরনের পানশালাগুলিতে সবসময় নিয়ম বিধি মানা হয় না ৷ যদিও শনিবারের এই ঘটনার পর কঠোর ভাবে বিধিনিষেধ জারির পথে হাঁটছে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসন ৷ পৃথিবীর যে দেশগুলিতে সবথেকে বেশি মদ্যপান করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ আফ্রিকা ৷