জীবনের শেষ বিশ্বকাপ কাতারে খেলবে লিও মেসি


ক্রিড়া ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 24-06-2022

জীবনের শেষ বিশ্বকাপ কাতারে খেলবে লিও মেসি

হয়তো জীবনের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন কাতার বিশ্বকাপে। এখনই ৩৫, চারবছর মানে ৩৯ হয়ে যাওয়া। সেইসময় এই ফর্ম থাকবে তো, একই খিদে নিয়ে আমেরিকায় নামা সম্ভব হবে?

কথায় রয়েছে, শিল্পীরা একটু পাগলাটে হন, তাঁদের মাথায় কী চলে কেউ জানে না। হয়তো কাতারে স্বপ্নপূরণ হল না, মন বলল চলো আমেরিকা।

লিওনেল মেসি কী করবেন, তাঁর স্ত্রী আন্তোনেলাও মনে হয় জানেন না। মেসিই কি জানেন তাঁর ইচ্ছের কথা, কে জানে!

১১০ মিটার দীর্ঘ এবং ৪৯ মিটার প্রস্থের (ফুটবল মাঠের মাপ) একটি সবুজ ক্যানভাসে কল্পনার সকল মাধুরি মিশিয়ে নিপুন এক শিল্পীর মত পায়ের তুলি দিয়ে দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ছবি আঁকছেন এক জাদুকর।

উচ্চতা তাঁর মাত্র ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, কিন্তু কী অসম্ভব গতি তাঁর, ক্ষিপ্রতা চিতার মতো, হরিণের মতো ছুটে চলেন তিনি।

সম্প্রতি লাতিন আমেরিকার একটি সংবাদপত্র লিখেছিল, ফুটবল পায়ে তাঁর মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র এতটাই কম যে, তাঁকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ধারণ করা কিংবা থামিয়ে দেওয়া এক কথায় অসম্ভব।

ফুটবলের রাজপুত্র, বরপুত্র কিংবা খুদে জাদুকর, অনেক নামেই তাঁকে সারা বিশ্ব। বিশেষজ্ঞদের মতে, মর্ত্যের সেরা ফুটবলার। ক্লাব ফুটবলে হাজারো সাফল্য যাঁর পদতলে এসে সমর্পিত হয়েছে। কিন্তু এক কোপা আমেরিকাছাড়া জাতীয় দল আর্জেন্টিনার জার্সিতে এখনও কিছুই অর্জন হয়নি।

আর্জেন্টিনার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য সান্তা ফে’র সবচেয়ে বড় শহর রোজারিও। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সের ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এই শহরেই ১৯৮৭ সালের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন লিওনেল আন্দ্রেস মেসি।

বাবা হোর্সে মেসি ছিলেন একটি ইস্পাতের কারখানার ম্যানেজার। তাঁর মায়ের নাম সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি। যিনি একটি চুম্বক উৎপাদনকারী কারখানায় কাজ করতেন। তাঁদের ঘরের তৃতীয় সন্তান হলেন লিও।

বাবার দিক থেকে মেসি ছিলেন ইতালিয়ান এবং স্প্যানিশ, মিশ্র বংশোদ্ভূত। মায়ের দিক থেকে আবার পুরোপুরি ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত। মেসিদের পৈতৃক পরিবারের আদি নিবাস ছিল ইতালির আকোনা শহরে। তাঁর পূর্বপুরুষদের একজন অ্যাঞ্জেলো মেসি সেখান থেকে আর্জেন্টিনায় চলে আসেন।

মেসির বড় দুই ভাই এবং একটি ছোট বোন রয়েছে। বড় দুই ভাইয়ের নাম রদ্রিগো ও মাতিয়াস মেসি এবং ছোট বোনের নাম মারিয়া সল। পাঁচ বছর বয়সে মেসি স্থানীয় ক্লাব গ্রান্ডোলির হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন, যাঁর কোচ ছিলেন তারই বাবা হোর্সে। ১৯৯৫ সালে মেসি রোজারিও ভিত্তিক ক্লাব নিওয়েল’স ওল্ড বয়েজে যোগ দেন।

১১ বছর বয়সে মেসির গ্রোথ হরমোনের সমস্যা ধরা পড়ে। যার চিকিৎসা ছিল ব্যয়বহুল। আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভার প্লেট মেসির প্রতি তাদের আগ্রহ দেখালেও সে সময় এই ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ বহন করতে অপারগ ছিল। মেসির চিকিৎসার জন্য প্রতিমাসে প্রয়োজন ছিল ৯০০ মার্কিন ডলার।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]