রাজশাহী, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায় ভিসায় দুর্নীতির অভিযোগ


মোঃ ফায়সাল হোসেন: রাজশাহী, , আপডেট করা হয়েছে : 23-06-2022

রাজশাহী, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায় ভিসায় দুর্নীতির অভিযোগ

রাজশাহীর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ফরেন এক্সচেঞ্জ অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলামের নামে পাসপোর্ট বইয়ে ভিসার জন্য ডলার ইনডোজে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তিনি প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টা পাসপোর্ট বই অবৈধভাবে ডলার এনডোজ করে থাকেন।

তথ্য অনুযায়ী সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ফরেন এক্সচেঞ্জ অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলামকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে আপনার কাছে যে অভিযোগ আছে আপনি ব্যাংকে আসেন, ম্যানেজার স্যারের সাথে কথা বলেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি ফোনে এর বেশি কিছু বলতে পারব না।

অন্যদিকে রংপুর ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার এর পরিচালনার দায়িত্বে আছেন রংপুর অফিসের ওমর কুমার রায় এবং ছবিতা রানী। তাদের যোগসাজশে ফেক ডলার ইনডোজ জমা করা হয় এবং পাসপোর্ট বই প্রতি ৫শত টাকা আদায় করা হয়। এই অবৈধ কাজে সহযোগিতা করেন অফিসের পাশের কিছু দোকানদার। অভিযোগ ওঠেছে, কোন ব্যক্তি অন্য কোথাও থেকে ডলার ইনডোজ সঠিকভাবে করে নিয়ে আসলেও হয়রানি করেন ছবিতা রানী। এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে ছবিতা রানীর বিরুদ্ধে। অবৈধ ডলার ইনডোজ তৈরি করে দেয় যেসব দোকানিরা, রহমান- মাহির ভিসা প্রসেসিং। মুকুল- মাইশা ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস। মিলন- আপন প্যারেন এন্টারপ্রাইজ। হযরত আলী- মাহিগঞ্জ এন্টারপ্রাইজ। রাজ চক্রবর্তী- কামনা স্টুডিও। কমল- রংপুর অনলাইন ডট কম। জাহাঙ্গীর ভিসা গার্ডেন। মনি ঠাকুর- এ বি সি অনলাইন।

এসকল সিন্ডিকেটের মূল হোতা মোঃ শাহিন।এসকল দোকানদারদের কাছে গেলে তারা সব কাগজপত্র তৈরি করে দেয়। আর এদের কাছে ডলার ইনডোজ করলে কোন সমস্যা নাই কিন্তু অন্য কোথাও ডলার ইনডোজ করলে হয়রানির শেষ নাই।

মুঠো ফোনে জানতে চাইলে সিন্ডিকেটের মূল হোতা মোঃ শাহিন জানান, বিস্তারিত জানতে আমাদের সমিতি সংগঠন আছে তাদের কাছে জানুন। আমি কিছু বলতে পারবোনা।

এ বিষয়ে জানতে ছবিতা রানীর মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও ছবিতা রানী ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এছাড়াও ঠাকুরগাঁওয়ে ঐশ্বিনী কুমার বর্মনের  নির্দেশে প্রতিদিন প্রায় ৭০  থেকে ৮০ টা ফেক ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি করা হয়। বিনিময় স্টেটমেন্ট প্রতি ৮শত থেকে ১হাজার টাকা আদায় করেন তিনি। সেই টাকা ৩ ভাগে ভাগ করা হয় প্রতিদিন। সিন্ডিকেটের মূল হোতা বিশ্ব রায়- বিশ্ব কম্পিউটার ভিসা প্রসেসিং সেন্টারের অধীনে যেসব দোকানিরা কাজ করে।

তারা হলো: সেবা ষ্টুডিও এন্ড ভিসা প্রসেসিং সেন্টার, রনি-অপূর্ব কম্পিউটার, শুভ- তেতুলিয়া ভিসা প্রসেসিং সেন্টার, শশী- সোনার বাংলা ভিসা প্রসেসিং সেন্টার। মুন্না মেরিন ভিসা প্রসেসিং সেন্টার।

পর্ব -১


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]