হবিগঞ্জে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, বানিয়াচং, লাখাই ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পর প্লাবিত হচ্ছে মাধবপুর ও বাহুবল উপজেলা।
বুধবার হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের দেয়া সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, সাত উপজেলার ৭৯ হাজার ৭২০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ২৩ হাজার ২৩৫টি। প্লাবিত হয়েছে জেলার ৬৬৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। বন্যাদুর্গতদের আশ্রয় দিতে ২২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে ১৭ হাজার ৩৪৭ জন মানুষ ও ৩ হাজার ৪১টি গবাদিপশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. একরামুল হক বুধবার রাতে জানান, হবিগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নদ-নদীর পানির উচ্চতা কিছুটা কমেছে। খোয়াই নদের তিনটি পয়েন্টে মঙ্গলবারের চেয়ে পানি কমেছে। দুটি পয়েন্টে কমেছে কুশিয়ারার পানিও। কালনী-কুশিয়ারা নদীর পানি কমেও আজমিরীগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্ত মানুষের জন্য সাহায্য অব্যাহত রয়েছে। দুর্গত এলাকাগুলোতে ২০০ মেট্রিক টন চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ ১০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও আমাদের কাছে মজুত রয়েছে। বন্যাদুর্গত মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতে ৩০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।