নদীর পানিবণ্টন নিশ্চিতে ভিন্ন পথ খোঁজার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের


অনলাইন ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 23-06-2022

নদীর পানিবণ্টন নিশ্চিতে ভিন্ন পথ খোঁজার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার তাগিদ দিলেও ভারতের অনীহায় গত ১১ বছর ধরে আটকে আছে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক। ফলে অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সব আশা ক্রমেই ধূসর হচ্ছে।

এমন অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারের দূরত্বের ফলে অচিরেই মিলবে না সমাধান। তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানিবণ্টন নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজন চীনসহ কয়েকটি দেশ নিয়ে ভিন্ন পথ খোঁজার।

গত ৩০ মের জেসিসি সম্মেলন শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে ১৮ থেকে ১৯ জুন তারিখ ধার্য করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর-বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

এ বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা যৌথ নদী কমিশনের বিষয়টি সেরে ফেলা। তবে ৩ সপ্তাহ সময় পেলেও তা হয়নি শেষমেশ দিল্লিতে জেসিসি বৈঠক অংশ নিতে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

দেশে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বারবার তাগিদের পরও জেআরসি বৈঠকে ভারতের অনাগ্রহের বিষয়টি আবারও উঠে আসে তার কথায়।

এর একদিন পর (২২ জুন) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, রাজ্যসরকারকে পাশ কাটিয়ে সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার।

কূটনীতিক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্র রাজ্যকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে কি না? সেটিও ভেবে দেখার সময় এসেছে আমাদের।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান সম্প্রতি সময় সংবাদকে বলেন, কেন্দ্রে এক সরকার আর তৃণমূলে এক সরকার, তাদের আচরণ দেখে মনে হয় না যে, তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক আছে। সেখানে আমি মনে করি, বর্তমানে বা অদূর ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক হবে এবং আমাদের এই পানিবণ্টন ইস্যু সমাধান হবে। আমার মনে হয়, দ্বিতীয় পন্থা খুঁজে বের করতে হবে।

সমাধানের উপায়ও বলছেন কেউ কেউ। ভারতের সাড়া না পাওয়ায় চীন ও নেপালকে সঙ্গে নিয়ে বহুদেশীয় রিভার বেসিন রেজিমের উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলা হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, যৌথ নদী কমিশন না বরং বেসিন রিভার কমিশন করা প্রয়োজন। নেপাল, ভুটান এমনকি চীনকে নিয়ে আসা দরকার। পুরো রিভার বেসিন রেজিমকে নিয়ে যখন চিন্তাভাবনা করা হবে তখন পরিবর্তনটা হবে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও সিকিমে ড্যাম নির্মাণের ফলে পানিবণ্টন ভারতের মধ্যেও আন্তঃপ্রদেশীয় ইস্যুতে রূপান্তর হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]