নিয়মিত সকালে খালি পেটে পান করুন কিশমিশ ভেজানো পানি


ফারহানা জেরিন , আপডেট করা হয়েছে : 22-06-2022

নিয়মিত সকালে খালি পেটে পান করুন কিশমিশ ভেজানো পানি

আমরা সাধারণত খাবারে স্বাদ কিংবা সৌন্দর্যের জন্য কিশমিশ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু, আমরা অনেকেই জানি না কিশমিশে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। শুধু কিশমিশ না, কিশমিশ ভেজানো জল খেলেও তার রয়েছে নানা উপকারিতা। আসুন কিশমিশ বা কিশমিশ ভেজানো জল পান করলে কি কি উপকার হয় তা সম্পর্কে জেনে নিঃ-

কিশমিশ ভেজানোর জল পান করলে লিভারে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়, যার ফলে শরীরের অভ্যন্তরে দ্রুত রক্ত পরিশোধন হতে থাকে।

কিশমিশের জল নিয়মিত পান করলে পেট একদম পরিষ্কার থাকে। যারা প্রায়শই পেটের গন্ডগোলে ভোগেন তাদের জন্য এই জল বিশেষ উপকারী। সেই সঙ্গে ভরপুর শক্তি পাবেন। কিসমিসে থাকে পটাশিয়াম, যা হার্টকে ভালো রাখে এবং খারাপ কোলেস্টরল দূর করতে সাহায্য করে।

লিভার ও কিডনির সমস্যা হলে ক্ষতিকারক পদার্থ শরীরে জমতে শুরু করে এবং আমাদের অসুস্থ করে তোলে। তাই লিভার ও কিডনিকে সব সময় চাঙ্গা রাখতে কিশমিশ ভেজানো জল পান করুন। এতে দারুণ হজমশক্তি বাড়ে।

নিয়মিত কিশমিশ খেলে বৃদ্ধ বয়সে দৃষ্টিহীন হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। পাশাপাশি কিশমিশে থাকা পলিফেনল উপাদান, যা ক্ষতিকারক ফ্রি-রেডিকেলস ধ্বংস করে চোখকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে লৌহ আছে যা রক্তশূন্যতায় ভোগা রুগীদের জন্য খুবই উপকারি। এছাড়া রক্ত ও লোহিত কণিকা তৈরির জন্য দরকার ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স ও কপার, যা কিশমিশে থাকে। এককাপ কিশমিশ ৬ মিলিগ্রাম লৌহের যোগান দিতে পারে, যা প্রতিদিনের লৌহের চাহিদার ১৭ শতাংশ পূরণ করতে পারে।

চকলেট, ক্যান্ডির মতো দাঁতে লেগে থাকে না কিশমিশ, ফলে ক্যাভিটি তৈরির আশঙ্কা থাকে না। বরং কিশমিশের পাইথোনিউট্রিয়েন্ট, অলিয়ানলিক এসিড নামে পরিচিতি যা দাঁতের ক্যাভিটি ধ্বংস করে মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

আজকাল অস্টিওপোরোসিস রোগে অনেকেই ভুগে থাকেন। হাড়ের এই রোগ প্রতিরোধ করতে বোরন নামের খনিজ পদার্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর কিশমিশ বোরনের অন্যতম উত্‍স। বোরনে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম- যা হাড় গঠনের পাশাপাশি শরীরে টেসটোসটেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে।

অতিরিক্ত এসিডিটি বা রক্ত দূষিত হওয়াকে বলে অ্যাসিডোসিস, যা থেকে আরথ্রাইটিস, চামড়ার রোগ, হৃদরোগ এবং ক্যান্সার হতে পারে। অ্যান্টাসিড হিসেবে পরিচিত দুটি উপাদান ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম শরীরের ক্ষরীয়ভাব স্বাভাবিক করে অ্যাসিডোসিসের হাত থেকে বাঁচায়। আর এই উপাদানগুলো কিশমিশে রয়েছে।

কিশমিশে কোলেস্টেরলের পরিমাণ শূন্য। শুধু তাই নয়, এতে আছে অ্যান্টি কোলেস্টেরল উপাদান, যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া কিশমিশে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার যকৃত থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে।

কিশমিশের জল তৈরি করার পদ্ধতিঃ- ২ কাপ জল (৪০০ এমএল) + ১৫০ গ্রাম কিশমিশ।

কিশমিশগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে দুকাপ জল দিয়ে রাতভর কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কিশমিশ ছেকে নিয়ে সেই জল হালকা গরম করে খালি পেটে খেয়ে নিন।

রাজশাহীর সময়/এ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]