লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হুমায়ুন হাসান রাকিবকে (৩৫) গতকাল শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফেনীর ফুলগাজী থানায় ২০১০ সালের একটি ডাকাতি ও হত্যা মামলায় তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার হওয়া হুমায়ুন হাসান রাকিব উপজেলার শায়েস্তাগর গ্রামের খাজা মোল্লা (কাঁচারী) বাড়ির আবুল কালাম সুলতানের ছেলে।
ওসি শিপন বড়ুয়া জানান, ওই যুবকের বিরুদ্ধে ফেনীর ফুলগাজী থানায় মামলা রয়েছে। তিনি মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই পলাতক ছিলেন। শুক্রবার রাতে বোয়াডার বাজার থেকে সহকারী পরিদর্শক (এসআই) ইমদাদুল হক, উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আতিকুর রহমান তাকে গ্রেফতার করে। শনিবার দুপুরে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া হুমায়ুন হাসান রাকিব থানায় সাংবাদিকদের বলেন, আমি এ মামলায় সাড়ে ৮ বছর কারাভোগ করেছি। জজ আদালত থেকে জামিনে ছিলাম। কবে রায় হয়েছে তা আমি জানি না। আমাকে অন্যায়ভাবে এ ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি নিরপরাধ। আমার স্ত্রী ও দেড় মাসের পুত্র সন্তান রয়েছে।
ফুলগাজী থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১০ সালেরর ১৯ নভেম্বর ওই উপজেলার ধলিয়া সড়কে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এক সিএনজি চালককে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্বজন পরশুরাম উপজেলার পূর্ব সাহেবনগর গ্রামের ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে গ্রেফতার হওয়া হুমায়ুন হাসান রাকিবকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ওই মামলায় প্রায় সাড়ে ৮ বছর জেল খাটেন রাকিব। জামিনে এসে তিনি পলাতক থাকেন। ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। তিনি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
রাজশাহীর সময় /এএইচ