হজ-ওমরার পুরস্কার


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 19-06-2022

হজ-ওমরার পুরস্কার

আল্লাহর জন্য বাইতুল্লায় হজ করা ফরজ, কিন্তু তা সবার জন্য নয়; তা সামর্থ্যবান মানুষের জন্য। আর যে তা না মানে তাতে আল্লাহর কোনো ক্ষতি হবে না, কেননা আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৯৭)

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসের অনেক বর্ণনায় এই হজ-ওমরার ফজিলত, পুরস্কার ও মর্যাদার বর্ণনা তুলেছেন। তাহলো-

১. গুনাহের কাফফারা ও জান্নাত:  হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এক ওমরা থেকে অপর ওমরা পর্যন্ত মাঝের সময়ের (সব সগিরা গুনাহের) জন্য কাফফারাস্বরূপ। আর হজে মাবরূর; যে হজে কোনো পাপাচার সংঘটিত হয়নি, এর পুরস্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই নয়।’ (মুসলিম)

২. নিষ্পাপ হওয়ার উপায়: হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার উদ্দেশ্যে হজ পালন করে, আর হজ-ওমরা অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে বিশেষভাবে মেলামেশা এবং এ সংক্রান্ত কথাবার্তাা ও আচরণ থেকে বিরত থাকে এবং কোনোরূপ পাপাচারে লিপ্ত না হয়, তবেসে নবজাতক শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসবে।’ (বুখারি, দারাকুতনি)

৩. হাজিদের নিয়ে গর্ব: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আরাফার (হজের) দিন আল্লাহতাআলা বান্দাকে যে হারে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে থাকেন, অন্য কোনো দিনই এর চেয়েবেশি মুক্ত করেন না। এদিন তিনি (বান্দার) কাছাকাছি হন এরপর তিনি তাঁর বান্দাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সঙ্গে গর্ব করে থাকেন এবং বলেন, এর (আমার কাছে কী চায়?’ (মুসিলম)

৪. দারিদ্রতা ও গুনাহ দূর হয়: নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা হজের পর ওমরা এবং ওমরার পর হজ করতে থাকো; কেননা ক্রমাগত হজ-ওমরা করতে থাকলে তা দারিদ্রতা ও গুনাহ এমনভাবে দূর করে দেয়; যেমন হাপর লোহা ও সোনা-রুপা থেকে খাদ দূর করে দেয়।’ (ইবনে মাজাহ)

৫. নারীদের হজ জেহাদ সমতুল্য: হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জেহাদে যাওয়ার অনুমতি চাইলে তিনি আমাকে বললেন, তোমাদের জিহাদ হলো হজ পালন করা।’ (বুখারি)

৬. রমজানে ওমরার বিশেষ ফজিলত: হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রমজানে একটি ওমরা করা আমার সঙ্গে একটি হজ করার সমতুল্য।’ (বুখারি)

হজ-ওমরার এমন অনেক ফজিলত, পুরস্কার ও মর্যাদা আছে। যা মুসলিম উম্মাহর জন্য নির্ধারিত। তাই হজের মাসে হজ ও অন্যান্য মাসে ওমরা করার প্রতি আগ্রহী হওয়া জরুরি। সামর্থ্য থাকলে একবার হজ আবার ওমরা করার প্রচেষ্টা করা।

হজ-ওমরার মাধ্যমে গুনাহ, দ্রারিদ্রতামুক্ত জীবনের পাশাপাশি সুনিশ্চিত জান্নাত ও কবুল হজের সওয়াব অর্জনে হজ-ওমরার প্রতি যত্নবান হওয়াই হোক ঈমানদার মুসলমানের কাজ। আমিন।

রাজশাহীর সময়/এ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]