কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রেনে কাটা এক নারীর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেলওয়ে সড়কের কুমারখালীর নন্দনালপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর কালুমোড় এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত মোছা. নয়ন তারা (৫০)। তিনি নন্দনালপুর মনোহরপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার কৃষক মতিন শেখের স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে ছেলে লালন ও তার বউয়ের সঙ্গে কলহ চলছিল নয়ন তারার। অভিমানে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজবাড়ি থেকে বের হন। পরে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেলওয়ে সড়কের কুমারখালীর কালুমোড় এলাকায় চলন্ত ট্রেনের সামনে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন। এতে তার শরীর দ্বিখণ্ড হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
আরও জানা গেছে, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পোড়াদহ রেলওয়ে পুলিশ। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ বিষয়ে নিহতের ভাই আব্দুর রাজ্জাক জানান, ছেলে আর বউয়ের সঙ্গে কয়েক দিন ধরে ঝগড়া চলছিল। এ নিয়েই হয়তো অভিমানে ট্রেনে কাটা পড়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, বাড়িভর্তি প্রতিবেশী ও স্বজনরা। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ছেলে লালন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালন কোনো কথা বলেননি প্রতিবেদকের সঙ্গে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশী বলেন, বাড়িতে পারিবারিক কলহ চলছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মায়ের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে নয়ন তারা বের হন। পরে তার মৃত্যুর খবর শোনা যায়।
পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ওসি মো. মনজেল আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে এক নারীর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।