পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন ও মজুত বাড়ানোর অভিযোগ করেছে পারমাণবিক অস্ত্র বিলুপ্তির আন্তর্জাতিক প্রচারণা সংস্থা আইসিএএন। খবর আল জাজিরা।
সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়াসহ পরমাণু শক্তিধর ৯টি দেশ ২০২১ সালেই পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে ৮ হাজার ২৪০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে আট গুণ বেশি। এ অবস্থায় পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকির বিষয়ে আবারও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গেল সোমবার স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট নামের একটি গবেষণা সংস্থা জানায়, স্নায়ুযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
গবেষণা সংস্থাটির এই সতর্ক বার্তার দুদিনের মধ্যে নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করল পারমাণবিক অস্ত্র বিলুপ্তির আন্তর্জাতিক প্রচারণা সংস্থা আইসিএএন। সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়াসহ পরমাণু শক্তিধর নয় দেশ পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০২১ সালেই পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে ৮ হাজার ২৪০ কোটি ডলার খরচ করেছে দেশগুলো, যা আগের বছরের চেয়ে আট গুণ বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে এলেও গণবিধ্বংসী অবৈধ অস্ত্র নির্মাণে কোটি কোটি ডলার অর্থ খরচ করছে শক্তিধর নয় দেশ। ব্যয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ করেছে ওয়াশিংটন।
উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে আইসিএএন জানায়, ২০২১ সালে পরমাণু অস্ত্র নির্মাণে দেশটি সাড়ে ৬০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। এ অবস্থায় বিশ্ব পরমাণু যুদ্ধের চূড়ান্ত ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।