মৌলভীবাজারের চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান ধর্ষক সেলিম মিয়াকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
সোমবার (১৩ জুন) রাত সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানার ভাটিয়ারী এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মৌলভীবাজার জেলার মৌলভীবাজার সদর থানাধীন জাজুয়া গ্রামের ইন্তাজ মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া।
অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী ভিকটিম তার শ্বাশুরী, দেবর এবং ৩ বছরের একটি শিশু সন্তানকে নিয়ে তার স্বামীর বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার সদর থানার আমতৈল এলাকায় বসবাস করত। তার স্বামী একজন প্রবাসী এবং বর্তমানে ওমানে বসবাসরত। ভিকটিমের পাশের গ্রামের বাসিন্দা সেলিম মিয়া ভিকটিমের বাড়ীর সামনে দিয়ে প্রায়ই চলাফেরা করত এবং ভিকটিমকে বৌদি বলে ডাকত। গত ৫ মে ২০২২, বিকাল আনুমানিক ৫টায় ভিকটিমের শ্বাশুড়ী তার ৩ বছরের শিশুকে নিয়ে বাড়ি হতে দূরে মুদির দোকানে কেনাকাটা করতে যান। সেই সুযোগে সেলিম মিয়া ভিকটিমের বাড়িতে এসে এক গ্লাস পানি চায়। ভিকটিম পানি আনতে ঘরে গেলে সেলিম মিয়া ভিকটিমের পিছনে পিছনে ঘরে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে ফেলে এবং জোরপূর্বক ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের চিৎকার শুনে তার শ্বাশুড়িসহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামী সেলিম মিয়া পিছনের দরজা খুলে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভিকটিম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং- ৪/১৩৪, তারিখ ০৭ মে ২০২২ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর ৯(১)।
র্যাব আরও জানায়, উক্ত ধর্ষণকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়া তদন্ত অব্যহত রাখে। গোয়েন্দা নজরদারীর এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, উক্ত মামলার পলাতক আসামী সেলিম মিয়া গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানার ভাটিয়ারী এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ১৩ জুন ২০২২ আনুমানিক সাড়ে ১২টায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী উল্লেখিত ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজশাহীর সময়/এ