চট্টগ্রামের রাংগুনিয়ায় হত্যাসহ চার মামলার ৭ বছর ধরে পলাতক প্রধান আসামী মোঃ মামুনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
(১৭ জুলাই ২০১৪) রাত সোয়া ১০টায় চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানাধীন মরিয়মনগর চৌমুহনী বাজারের মোঃ আলতাফ হোসেন অরফে কানা আলতাফের ব্যবসায়িক অফিসের ভিতর ঢুকে কতিপয় দৃস্কুতিকারী মুখোশ ও বোরকা পরিহিত অবস্থায় পূর্ব শত্রুতার জেরে অতর্কিতভাবে মোহাম্মদ ইমাম হোসেন, মোঃ মানিক এবং মোঃ আলতাফ হোসেন অরফে কানা আলতাফদের নির্মমভাবে এলোপাথারী গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহতের চিকিৎসার জন্য রাগুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ ইমাম হোসেনকে মৃত ঘোষনা করে। আহত বাকী ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে নিহতের ভাই বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাগুনিয়া থানায় ২ জনের নামে এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ ৭জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর থেকে হত্যা মামলার অভিযোগ পত্রে অভিযুক্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারীর এক পর্যায়ে জানতে পারে, মোহাম্মদ ইমাম হোসেন হত্যাকান্ডের অন্যতম ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ মামুন রাঙ্গুনিয়া থানাধীন মরিয়মনগর বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত (১০ জুন ) রাত ১০টার দিকে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার মামুন চট্টগ্রাম জেলার রাংগুনিয়া থানার আমিরাপাড়া গ্রামের মোঃ বদিউল আলমের ছেলে।
হত্যাকারী মামুন মামলার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
এছাড়াও সিডিএমএস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়ায় থানায় আরও ৩টি নাশকতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অপরাধ সংক্রান্ত মামলা রয়েছে।এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব-৭,এর মুখপাত্র সিনিঃ সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) মোঃ নূরুল আবছার।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।