ক্ষেতলাল পৌর নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আঃ মজিদ মোল্লা


নিরেন দাস,জয়পুুরহাট প্রতিনিধিঃ , আপডেট করা হয়েছে : 10-06-2022

ক্ষেতলাল পৌর নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আঃ মজিদ মোল্লা

জয়পুুরহাটের ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচন-২২-ইং নির্বাচন কে সামনে রেখে দীর্ঘ দিনধরে বিলবোর্ড, ফেস্টুন,ব্যানারসহ করোনাকালীন সময়ে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে অসহায়,দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি ও বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ মোল্লা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তার সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবনী তুলেধরে আকুল আবেদন জানিয়েছে।

জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গত সোমবার (৬ ই জুন) ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচন-২২ এ পৌরসভার তফশিল ঘোষণা করেন। নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার পরেই জনপ্রিয়তা ও আলোচনা শীর্ষে থাকা 

নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আশাবাদী মেয়র পদপ্রার্থী  আব্দুল মজিদ মোল্লা তার সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আকুল আবেদন জানান।

মেয়র পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল মজিদ মোল্লা তার সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্তে উল্লেখ করেছেন যা নিম্নে উল্লেখ করা হইলো।

বরাবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী আস সালামু আলাইকুম।

বিষয়ঃ- জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল পৌরসভার আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য আপনার নিকট আমার আবেদন ও আমার সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবনী গণমাধ্যমের মাধ্যমে আপনার নিকট তুলে ধরছি আশাকরি আমার রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত দেখার পর আগামী আসন্ন ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনে আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনীত করে আপনি আমাকে মূল্যায়ন করবেন।

ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনে মেযর পদে দলীয় মনােনয়নের জন্য আমার সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত আপনার সমীপে নিল্পে প্রদান করলাম।

সাংগঠনিক কার্যক্রমঃ- মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৯৮০ সালে ক্ষেতলাল থানা ছাত্রলীগের ১ জন সদস্য হিসেবে আমার রাজনৈতিক জীবনের পথচলা শুরু। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৬ সালে ক্ষেতলাল থানা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ লাভ করি। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কারনে ১৯৯০ সালে ক্ষেতলাল থানা আওয়ামা লীগের কাউন্সিলে আমাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয় এবং ১৯৯৫ সালে ক্ষেতলাল থানা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আমাকে ২ য় বারের মত সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৯৫ সালে ২ য় বারের মত থানা আওয়া্মী লাগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২০০৮ সাল পর্যন্ত একটানা প্রায় ১৮ বছর যাবৎ থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।

২০০৮ সালে থানা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আমাকে আহবায়ক কমিটির ১ নং যুগ্ম আহবায়ক মনোনিত করা হয়। আহবায়ক কমিটিতে ১ নং যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আমি দায়িত্ব পালন করি। ২০১৩ সালের শেষের দিকে থানা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আমাকে ১ নং সহ- সভাপতি হিসাবে মনোনিত করা হয়। ২০১৭ সালে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত আমি দায়িত্ব পালন করি। (১৯৯০ সাল হতে ২০২২ পর্যন্ত মোট ৩২ বৎসর যাবৎ আমি দালের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি)।

ছাত্র জীবন থেকে অদ্যাবধি আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে যখন যে দায়িত্ব প্রদান করেছেন আমি আমার উপর সেই অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। সর্বশেষ ২০২২-ইং সালের ২৩ ই মার্চ উপজেলা অওয়ামী লীগের সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনার নির্দেশক্রমে আমাকে রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হােসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ঘােষণা করেন এতে আমি আপনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞা প্রকাশ করেছে। আমি দলের প্রতি ১০০ ভাগ অনুগত থেকে সংসার বিরাগী হয়ে দলকে আত্মার সাথে সম্পৃক্ত করে তৃণমূল মানুষদের দলের পক্ষ সংগঠিত করেছি। পর পর ৬ টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী এলাকায় প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ভোটারদের দ্বারেদ্বারে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছি। ফলে পুরাে উপজেলায় আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে আমার সর্বাধিক পরিচিতি, ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণ যােগ্যতা করেছি। যাহা আমি হলফ করে বলতে পারি।

রাজনৈতিক হয়রাণী ও মিথ্যা মামলায় অভিযুক্তঃ- আওয়ামী চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে দলের পক্ষে তৃনমূল মানুষদের সংগঠিত করতে গিয়ে আমাকে নির্যাতন, জুলুম, হুালিয়া ও মিখ্যা মামলায় অভিযুক্ত হতে হয়েছে। সেগুলো মােকাবেলা করতে গিয়ে শুধু আমার সংসার বিদ্ধস্ত হয়নি, জীবন থেকে হারিয়ে গেছে অনেক সােনালী দিন।আমার কলিজার টুকরাে ২ মেয়ে হারিয়েছে বাবার আদর। সহধর্মিণী হারিয়েছে আমার সুখের সান্নিধ্য। ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে বিএনপি শাসনামলে অসহযােগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে আমার বিরুদ্ধে ৪ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেইসব মামলায় আমাকে গ্রেপ্তারও হতে হয়েছিলাম পরপর ২ বার।

২০০১-২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়ত শাসনামলে আরাে ২টি মামলা মােকাকবলা করতে হয়েছে আমাকে পর ০২ বার। দুঃসহ পলাতক জীবন কত কষ্ট ও বেদনার সেটা দুঃসময়ে আমি উপলব্ধি করেছি। আমি ক্ষেতলাল উপজেলায় ধর্মীয়,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও পরিচালিত করেছি এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের  গুরুতৃবপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত আছি।

দলীয় কর্মী হিসেবে স্ব্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতঃ- বঙ্গবন্ধ কন্যা, মহান প্রধানমন্তী, দেশরত্ব, জননেত্রী শেখহাসিনা মহোদয় আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন যে আপনার আস্থাভাজন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের হুইপ ও জয়পুুরহাট-২ আসনের সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহযুদ স্বপন এমপি মহােদয় আপনার দয়ায় শুধু আক্কেলপুর,কালাই আর ক্ষেতলাল উপজেলায় নয় পুরো জয়পুরহাট জেলায় অভৃতপূর্ব উন্নয়ন কর়েছেন। তিনি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অনন্য ও অনুসরণী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেখান আমিও অংশিদারিত্ব নিশ্চিত করেছি। সরকারের উন্নয়ন মূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে সহায়তা করেছি।

জীবনের লক্ষ ও উদ্দেশ্যঃ- জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার পিছিয়ে পরা জনগােষ্ঠীর ভাগ্যে উন্নয়নে কর্মসংস্থান মূলক বিভিন্ন কর্মসূচি প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করা। সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্লের সােনার বাংলা গড়ার জন্য মহান প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দেশরত্ন,জননেত্রী শেখ হাসিনা কে আমৃত্যু সহায়তা করা আমার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্য বাস্তাবায়নে আমি আগামী ক্ষেতলাল পৌরসভার মেয়র পদে মনোনয়ন নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

ক্ষেতলাল পৌরসভা নিবচিনে মেয়ের পদে মনােলয়ন প্রত্যাশী ও প্রাসঙ্গিক কথাঃ- আমি আগামী ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী। কিশাের বয়স থেকে আজীবন আমি দলের প্রতি ১০০ ভাগ অনুগত থেকেছি। দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কর্মকাণ্ড আমার স্বারা সংগঠিত হয়নি। বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলকে আমি সুসংগঠিত করেছি। দলের দুঃসময়ে যা হারিয়েছি, দলের সু-সময়ে তা পূরণের চেষ্টা আমি করিনি এবিষয়ে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি।

নির্লোভ ও নির্মোহ থেকে দলের জন্য আমি কাজ করেছি। মাননীয় নেত্রী আমরা জানি স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের নেগেটিভ কর্মকান্ডের কারনে সরকারের ভাবমূর্তি শ্লান হয়। নির্লোভ ও নির্মোহ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে মানুষের সেবা করার স্বাদ উপভোগ ও অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে না ফেরার দেশে যাওয়ার অভিপ্রায় নিয়ে এবার ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনে আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মনােনয়ন প্রত্যাশা করছি। সেই সাথে মহান আল্লাহতালা কে হাজির নাজির রেখে আশা ব্যক্ত  করছি যে, আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাল্লাহ।

এ নির্বাচনে মনােনয়ন প্রত্যাশী যে কোন নেতার চাইতে দলে আমার অনেক বেশী বিনিয়ােগ, গ্রহণযােগ্যতা, পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা সবই আমার রয়েছে। মানুষ আমার প্রতি বিরাগ ভাজন নয়। ত্যাগী ও দুঃসময়ের পরীক্ষিত মানুষ হিসেবে সবাই আমাকে চেনে,জানে ও পছন্দ করে।

তৃণমূলে সেই গ্রহণ যোগ্যতা আমার রয়েছে এজন্য আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি।সূদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমার পরিবার পরিজনদের কে কিছুই দিতে পারি নাই। তুবও তারা গর্বিত এই জন্য যে আমি মানুষের

জন্য বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চেতনা ধারন করে তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শতভাগ আস্থায় অবিচল থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আমি দলের কাজে জীবন কিছু চাইনি।

আজ আমার রাজনৈতিক জীবনের শেষ মুহূর্তে আপনার নিকর আমার শেষ চাওয়া যা আপনি কিভাবে মূল্যায়ন তা শুধু নির্ধারণ করবেন। তবে বড় আশায় যা চেয়েছি তা পেলে আপনার অমর্যাদা করব না। এ টুকু শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি বলে আব্দুল মজিদ মোল্লা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন করেন। এই নেতার আরও জীবনী দ্বিতীয় পর্বে প্রকাশ করা হইবে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]