১১ মাস পর চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ রশিদ আহাম্মদকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
সোমবার (৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন পূর্ব নাসিরাবাদ তুলাতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ধর্ষক মোঃ রশিদ আহাম্মদ (৫৫), সে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার বাহারছড়া গ্রামের মৃত সাহাব মিয়া অরফে ছাম মিয়ার ছেলে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭, চট্টগামের মুখপাত্র সিনিঃ সহকারী পরিচালক মোঃ নূরুল আবছার।
তিনি জানান, গত (১৯ জুলাই ২০২১) নানার বাড়ী চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানাধীন বাহারছড়া এলাকায় বেড়াতে যায় এক শিশু। নানার বাড়িতে পৌছানোর পর ওই দিন দুপুরে শিশুটি খেলার জন্য বাড়ির বাহির হলে আসামী মোঃ রশিদ আহাম্মদ শিশুটিকে একা পেয়ে ফুসলিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে।
শিশুটির মা তার মেয়েকে বেশ কিছুক্ষন আশে পাশে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করে এবং নাম ধরে ডাকতে থাকে। তার মায়ের ডাক শুনে ধর্ষক মোঃ রশিদ আহাম্মদের বসত ঘরের দরজায় অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় এসে কান্নাকাটি করতে থাকে। মেয়ের এমন অবস্থা দেখে শিশুটির মা আসামীর বসত ঘরে প্রবেশ করে। ততক্ষণে ধর্ষণকারী মোঃ রশিদ আহাম্মদ দরজা দিয়ে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এরপর আশে পাশের আত্বীয় স্বজনদের সহায়তায় ধর্ষিতা শিশু চিকিৎসার জন্য প্রথমে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস) ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/৩), এর ৯(১), ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ধর্ষণকারী লম্পট মোঃ রশিদ আহাম্মদ শিশুটিকে ধর্ষণ করেও ক্ষান্ত হয়নি। তার নামে উল্লেখিত ধর্ষণ মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে সে নিজ এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় পলাতক থেকে শিশুটির বাবাকে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে।
এরপর ধর্ষনকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, জানতে পারে, ধর্ষণকারী মোঃ রশিদ আহাম্মদ চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন পূর্ব নাসিরাবাদ তুলাতলী এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষণ মামলার মেডিক্যাল প্রতিবেদনে ভিকটিমের শরীরে ধর্ষণের যথেষ্ট আলামত পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ রশিদ আহাম্মদ সে ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-৭, এর মুখপাত্র।