কারো উস্কানিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা রাস্তায় নামলে আম-ছালা দুটোই হারাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্দোলন করে কারখানা ও কাজ বন্ধ করে দেয় তাহলে তো চাকরি চলে যাবে। সেটা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। তখন আর বেতন বাড়া না, বেতনহীন হয়ে যেতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টস শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি পক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে।
এর আগে গতকাল সোমবার (৬ জুন) বেতন বাড়ানোর দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এদিন সকাল থেকে মিরপুর ১৩ নম্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশ গার্মেন্টস শ্রমিক।
পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শ্রমিকরা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশও শ্রমিকদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ফলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ বিষয়ে পল্লবী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্যাট্রল) মাহবুব বলেন, ‘শ্রমিকরা মিরপুর ১৩ নম্বরের রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। আমরা তাদের সরানোর চেষ্টা করছি।’
প্রসঙ্গত, বেতন বাড়ানোর দাবিতে শনিবার (৪ জুন) দুপুর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। ওই দিন তারা বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিরপুরের ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বরের রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। পরদিন রোববার (৫ জুন) বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ে। এদিন শ্রমিকরা মিরপুর ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ নম্বরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
শ্রমিকদের দাবি, নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে, সেই হারে বেতন বাড়েনি তাদের। ফলে বর্তমান বেতন দিয়ে মাস পার করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি মালিকপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমেছেন তারা।
রাজশাহীর সময়/জেড