আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা অপমৃত্যু মামলা তদন্তে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মেয়েকে হত্যা করেছেন তার মা। বরিশালের কাউনিয়া থানার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার আট দিন পর অভিযুক্ত মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর মুকুল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অপমৃত্যু মামলা তদন্তে গিয়ে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। হত্যায় মাসহ তিনজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মা লিপি আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার পরকীয়া প্রেমিক এবং হত্যায় আরেক সহযোগী জসিমকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জানা গেছে, সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের স্ত্রী লিপি আক্তারের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ান একই ইউনিয়নের রামকাঠি গ্রামের নুরু খানের ছেলে কবির খান। গত ২৭ মে দুপুরে লিপি আক্তার তার পরকীয়া প্রেমিক কবির খানের সঙ্গে একান্তে মিলিত হোন। তা দেখে ফেলেন লিপি আক্তারের মেয়ে তন্নি আক্তার (১৩)। এ ঘটনা তন্নি আক্তার তার বাবাকে বলে দেবে জানালে পরকীয়া প্রেমিক কবির ও জসিম নামে একজনের সহায়তায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে ঘরে তন্নির মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন। এরপর লিপি আক্তার তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন নিহত তন্নির বাবা সোহরাব হাওলাদার। গ্রেপ্তার লিপি আক্তারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
হত্যার কাজে ব্যবহৃত সকল আলামত জব্দ করা হয়েছে। তবে পরকীয়া প্রেমিক কবির খান ঘটনার দিন থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। খুব শিগগিরই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
রাজশাহীর সময়/এ