রাজধানীর কদমতলী এলাকায় প্রেমিকার বাসায় আশিকুল হক চৌধুরী (৩২) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ জুন) তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে যৌন উত্তেজক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আশিকুলের মৃত্যু হতে পারে বলে জানায় পুলিশ।
নিহত আশিকুর ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগরের কনিকাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি রাজধানীর পূর্ব তেজতুরিপাড়া এলাকায় মেসে থেকে একটি দৈনিক পত্রিকার ছাপাখানার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে আশিকুর কদমতলীর মাতুয়াইল মেডিকেল রোডের ২৬/১৫ নম্বর ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে যান। ওই ফ্লাটে আশিকুরের প্রেমিকা (নারী) তার ভাবির সঙ্গে থাকেন। তবে ঘটনার সময় ওই নারী ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন।
ওই নারী পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তিন-চার মাস আগে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তবে গত বৃহস্পতিবারই প্রথম তাদের দেখা হয়। ফ্ল্যাটে আসার পর আশিকুল একপর্যায়ে অসুস্থ বোধ করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দাকে ডাকেন ওই নারী। সেই প্রতিবেশী এসে দরজা থেকে উঁকি দিয়ে পরিস্থিতি দেখে ফিরে যান। দারোয়ানকেও ডাকা হয়েছিল, তিনিও সাড়া দেননি। পরে সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে।
পুলিশ জানায়, ওই নারীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বিবাহিত এবং তার একটি সন্তান রয়েছে। সেই সন্তান তার নানির সঙ্গে থাকে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যৌন উত্তেজক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আশিকুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। সময় মতো উপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা বলেন, মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।