বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল পাঁচ বছর আগেই। কিন্তু আইনের মারপ্যাঁচ থেকে রেহাই পাননি ‘পাইরেটস অব ক্যারিবিয়ান’ খ্যাত জনি ডেপ। তাঁর স্ত্রী অ্যাম্বার সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে বলেছিলেন তিনি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। মারধর, যৌন নির্যাতন এমনকি ধর্ষণের অভিযোগও তুলেছিলেন জনির বিরুদ্ধে। প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের অভিযোগের জেরে একের পর এক হিট সিনেমা থেকে বাদ পড়তে থাকেন জনি। হলিউড স্টারের পেশাগত জীবন তছনছ হয়ে যায়। তখনই স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকে দেন।
এই মামলা চলছিল বিগত ছ’সপ্তাহ ধরে। প্রথমটা জনির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ মজুত করলেও শেষের দিকে আইনি লড়াই জিতে যান জনিই। অ্যাম্বার যে মিথ্যা বলেছেন, বরং তিনিই তাঁর স্বামীকে জনসমক্ষে হেনস্থা করতেন সেটাই উঠে আসে বিচারপ্রক্রিয়ায়। মানহানির মামলায় পাল্লা ভারী হয় জনি ডেপেরই। মামলা জিতে এখন প্রাক্তন স্ত্রীয়ের থেকে কম করেও ১১৬ কোটি পাবেন হলিউড স্টার।
২০১৮ সাল থেকে স্বামী-স্ত্রী আইনি লড়াই চলছে। অ্য়াম্বারের অভিযোগ ছিল, তিনি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথাই বার বার বলেছিলেন। কিন্তু জনি যে তাঁকে মারধর করতেন, তাতে চোখে-মুখে দাগ থেকে যেত, আগের সেই অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে পারেননি অ্যাম্বার। এমনকি দু’জনের মধ্যে কথোপকথনে দেখা যায়, দূরত্ব বজায় রাখতে চাওয়া জনিকে কার্যত নাস্তানাবুদ করেন অ্যাম্বার। তিনি যে জনিকে মারধর করতেন সে কথাও বলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। অ্যাম্বারের ছোড়া ভদকার বোতলে জনির হাতের ওপরের অংশ কেটে গিয়েছিল, বিছানায় নাকি শৌচকর্ম করে রাখতেন অ্য়াম্বার, নিজেদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে পোস্টও করে দিতেন।
নর্দ্যার্ন ভার্জিনিয়া কাউন্টি সার্কিট কোর্টে মামলা চলছিল। আদালত জানিয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জনির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন অ্যাম্বার। নিজেকে নির্যাতিতা হিসেবে দেখাতে চেয়েছিলেন। জনির ভাবমূর্তি নষ্ট করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। সেই কারণে জনিকে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে অ্যাম্বারকে, ভারতীয় টাকার হিসেবে যা প্রায় ১১৬ কোটি টাকার মতো।