নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তাওবা-ইসতেগফারে মহান আল্লাহ বান্দার পাপরাশি ক্ষমা করে দেন। যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়। তাওবার এ দোয়াটি কী?
হজরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এ দোয়া পড়বে-
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : 'আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।'
অর্থ : 'আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।'
আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন; যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে (যাওয়ার পাপ করে) থাকে।।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মুসতাদরাকে হাকেম, রিয়াদুস সালেহিন)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, দিন-রাতের যে কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি তাওবাহ-ইসতেগফার করা। এ তাওবা-ইসতেগফারে ক্ষমা হবে মানুষের পাপরাশি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে সব সময় পাপরাশি থেকে ক্ষমা পেতে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
রাজশাহীর সময়/এইচ