দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোকোডাইল ফরসেপ প্রদান


দুর্গাপুর প্রতিনিধি: , আপডেট করা হয়েছে : 31-05-2022

দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোকোডাইল ফরসেপ প্রদান

নাক ও কানে ফরেন বডি যেমন তুলা, মুড়ি, পুঁথি ঢুকে গেলে অস্বস্তিতে পড়তেন রোগীরা। চিকিৎসকরা যন্ত্রের অভাবে রোগীর নাক বা কান থেকে ফরেন বডি যেমন তুলা, মুড়ি, পুথি বের করতে গিয়ে জটিলতায় পড়তেন। দুর্গাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আধুনিক মেশিন থাকলেও ছিল না নাক বা কান থেকে ফরেন বডি বের করার কোকোডাইল ফরসেপ যন্ত্র। রোগী ও চিকিৎসকদের কথা চিন্তা করেন মঙ্গলবার দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান সোহাগ নিজ অর্থয়ানে কোকোডাইল ফরসেপ যন্ত্র প্রদান করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ইমরান হোসেন মালিথা বলেন, বর্তমানে কান বা নাকে তুলা মুড়ি বা পুঁথি ঢুকে যাওয়া কেস প্রায়ই পাওয়া যায়। কিন্তু এই হাসপাতালে নাক বা কান থেকে ফরেন বডি বের করার আধুনিক কোন যন্ত্র ছিল না। এ ধরনের সমস্যায় পড়লে রোগী অস্বস্তিতে পড়তেন। চিকিৎসরাও বিপাকে পড়তেন। রোগী ও চিকিৎসকদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান সোহাগ নিজের অর্থয়ানে তিনি কোকোডাইল ফরসেপ মেশিন উপহার দিলেন। এছাড়াও তিনি নিজ উদ্যোগে অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল সামগ্রীর ব্যবস্থা করে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, কানে মুড়ি ঢুকে গেলে সম্প্রতি এক বাবা তার শিশু বাচ্চাকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন। তার আগে তারা বাড়িতে সিরিঞ্জ দিয়ে ওই শিশুর কানে পানি পুশ করে মুড়ি বের করার চেষ্টা করেন। হাসপাতালে পরীক্ষা করলে কানের ভিতরে মুড়ির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে চিকিৎসকরা মুড়ি বের করার সময় লক্ষ করে, কানে পানি দিয়ে সিরিঞ্জিং করার ফলে মুড়ি পানিতে ভিজে নরম হয়ে গেছে। মুড়ি ধরে বের করতে গেলেই বারে বারে ছিড়ে আসতে ছিল। প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় ওই শিশুর কান থেকে মুডি বের করা হয়। এ ধরনের সমস্যা নিরসনের জন্য এই যন্ত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]