জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক বলেছেন, শুধুমাত্র প্রবাসীরাই পারেন দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মডেল হওয়ায় অনেকেই দেশের এসব উন্নয়নকে পছন্দ করছেন না। তারাই দেশ ও প্রবাসে বসে সরকার ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাচার করছে। ধর্ম গেল ধর্ম গেল বলে যিকির তুলে একাত্তরের স্টাইলে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে একাত্তরের রাজাকার আর আলবদরের সেইসব প্রেতাত্মারা। স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ মে) নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি অধুষ্যিত জ্যাকসন হাইটসের এক রেস্তোরাঁয় প্রবাসী শেরপুরবাসীদের দেওয়া এক সংবর্ধনার জবাবে হুইপ আতিক এসব কথা বলেন। এ ধরণেরে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বাংলাদেশের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি প্রবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকারো আহবান জানান তিনি।
নিউ ইয়র্কের শেরপুর জেলা সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ও অনুষ্ঠানের আহবায়ক সাংবাদিক আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা আতিউর রহমান আতিক এমপি আরো বলেন, দেশে আজ সর্বত্রই গ্রাম-গঞ্জের চেহারা পাল্টে গেছে। উন্নয়নের পরশ পাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। তাই নিরপেক্ষভাবে সকলে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে বঙ্গবন্ধুর নৌকার নিরঙ্কুশ বিজয় কেউই ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। এটাই বাস্তবতা এবং এটাই সত্য। সকল প্রবাসীকে দেশে গিয়ে নিজ এলাকায় প্রত্যক্ষ করার আহবান জানান তিনি।
শেরপুর জেলা সমিতির প্রধান উপদেষ্টা আবুল কাশেম ছাত্র জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, শেরপুরে রাজনীতিবিদ হুইপ আতিক ১৯৭১ সনে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে শেরপুর সরকারী কলেজের ছাত্র সংসদে ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯০ সনে তিনি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সনের ১২ জুন প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অথ্যাৎ তিনি টানা ৫ম বারে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি মহান জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তার সাথে ছাত্র সংসদে নির্বাচিত কর্মকর্তা হয়ে করে কাজ করে নিজেকে গর্বিত বলে উল্লেখ করেন।
তিনি জেলার সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাবিবরণীর পাশাপাশি শেরপুর জেলা সদরে পূর্ণাঙ্গ একটি ইউনিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং শেরপুর জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চান। সেই সংগে জামালপুর ফেরী ঘাট থেকে সাতপাকিয়া-বলাইয়ের চর-চকসাহাবদি-কুমড়ার চর-জংগলদী- ভীমগঞ্জ বাজার পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের দ্রত সংস্কারের জোর দাবি জানান।
শেরপুরবাসীর এসব দাবীর জবাবে আতিক এমপি বলেন, বিষয়টি তিনি আগেই প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টিতে এনেছেন। এখন সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। অগ্রাধিকারের তালিকাতেও দেখেছি। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। এ সময় তিনি শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনায় সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন মাহিব ইসলাম। প্রধান অতিথি হুইপ আতি্ককে সস্ত্রীক ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সা’দ ও নূরা। বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শেরপুর জেলা সমিতির সভাপতি মামুন রাশেদ, সা. সম্পাদক মোস্তফা সাদী, সাবেক সভাপতি নাহিদ রায়হান, জান্নাত রহমান তারামনি, আক্তারুজ্জামান, সারোয়ার আলম সিরাজুল ইসলাম, নাইস চৌধুরী ও রাকিবুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন জামালপুর জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমান এবং সাংবাদিক লাবলু আনসার, হুইপের স্ত্রী শান্তনা রহমান শান্তা, কন্যা ডা.শারমিন রহমান অমি এবং অপি। তারা শেরপুর তথা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা বলেন। সাংস্কৃতিক পর্বে সংগঠনের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
রাজশাহীর সময়/জেড