নাটোরের সিংড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে একই গ্রামের স্কুলছাত্র ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার সকালে পৃথক দুটি স্থান থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের আগপাড়া গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, সিংড়া টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থী মেহেদি হাসান রাব্বি (১৬), সে শেরকোল আগপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আয়নাল হকের একমাত্র ছেলে।
সোমবার সন্ধ্যায় পড়তে না বসায় মোবাইল কেড়ে নেয় তাঁর মা। তখন সে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে যায়। সকালে বাড়ির পাশে চাচার পরিত্যক্ত বাড়ির রান্নাঘরের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত দেখতে পায় পরিবারের লোকজন।
তাঁর মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপরদিকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নিজ শয়ন কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় একই গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তালাকপ্রাপ্ত কোহিনুর বেগমের (২৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ঐ গ্রামের মৃত শামসুল হকের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, কোহিনুর বেগম একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তালাকপ্রাপ্ত নারী।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর কোহিনুর বেগমের লাঠির আঘাতে তাঁর বাবা মারা যান। গত ২৭ এপ্রিল সে জামিনে বের হয়ে বাড়ি আসে।
কোহিনুরের মা আনিছা বেগম বলেন, সে মাঝে মধ্যে বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করতো। গত রবিবার একাই বাড়ি থেকে বের হয়ে জয়পুরহাট চলে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করে সেখান থেকে সোমবার বাড়ি আনা হয়।
আজ সকালে হঠাৎ তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে ঘরের জানালা ভেঙে তাঁর লাশ বের করা হয়।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, একই গ্রামে দুজনের আত্মহত্যার খবর শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।