জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে জয়পুরহাটে গৃহবধূ শিপন খাতুনকে হত্যা করে তার স্বামী। আর বাবাকে বাঁচকে প্রতিবেশীকে দোষারোপ করে ছেলে। তবে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন বাবা ও ছেলে।
প্রথমে ধারালো ছুরি দিয়ে নিজ হাতে স্ত্রী শিপন খাতুনের গলাকেটে স্বামী তোজাম হোসেন। এরপর ছেলে শিহাব উদ্দীন বাবাকে বাঁচাতে চিৎকার করতে থাকে, তার মাকে প্রতিবেশী রবিউল হত্যা করেছে। মাত্র ১০ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে গিয়ে গৃহবধূ শিপন খাতুনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
রোববার (২৯ মে) বিকেলে জয়পুরহাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আতিকুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন অভিযুক্ত স্বামী-সন্তান।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান, এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে তোজাম হোসেন। কীভাবে হত্যা করা হয়, এবং কী উদ্দেশে হত্যা হয় সব কিছুই আদালতে বলেছেন।
সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেই এ ধরণের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন জয়পুরহাট জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আলীম।
কালাই উপজেলার দুধাইল নয়া পাড়া গ্রামে ১০ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিবেশী রবিউলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল তোজাম হোসেনের। প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর জন্যই ২৮ মে গভীর রাতে স্ত্রী শিপন খাতুনকে গলাকেটে হত্যা করে স্বামী তোজাম হোসেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে কালাই থানায় দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।