সত্যিকার ভিত্তিতে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূত


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 31-05-2022

সত্যিকার ভিত্তিতে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের যে নিষেধাজ্ঞা তা সত্যিকার ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনীতিক সংবাদকর্মীদের সংগঠন ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরের সম্পর্কের কথা বলতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে এ অনুষ্ঠানে আনা হয়।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে র‌্যাবকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা এবং মানবাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, খুব শিগগিরই র‍্যাবের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমদসহ বাহিনীর সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

সে সময় ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এমন পদক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। পরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে একটি লবিস্ট সংস্থাকেও নিয়োগ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র পার্টনারশিপ ডায়ালগে যোগ দিতে আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড গত ১৯-২১ মার্চ ঢাকা সফরে এলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে র‌্যাবের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গও তোলা হয়।

তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাইডেন প্রশাসনের ওই কর্মকর্তাও বলেছিলেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ‘জটিল ও কঠিন’। তবে এটা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে দুই দেশের সরকার।

পরে ২৩ মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, আগামী এপ্রিলে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ১০ ডিসেম্বরের পর মার্কিন প্রতিনিধি যার সঙ্গেই আলাপ হয়েছে, র‌্যাব ইস্যুটা এসেছে। আর সম্প্রতি মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি যিনি এসেছিলেন, তার সঙ্গে এটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। ওনার বক্তব্য আপনারা শুনেছেন। উনি বলেছেন যে, গত তিন মাস র‌্যাবের কারণে কারও মৃত্যু হয়নি, এসব… তারা খুশি।

তিনি বলেন, আমরা ওনাদের বলেছি, আমরা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি, যা যা নেওয়ার। আমি বলতে চাই, এই প্রতিকারের ব্যবস্থাগুলো আমাদের সিস্টেমে এমনিতেই ছিল। কিন্তু অনেক সময় সেগুলো ঠিকমতো কার্যকর হয়নি।

এরপর গত ১২ এপ্রিল সময় সংবাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, গত ৪ মাসে র‍্যাবের কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আইনি প্রক্রিয়ার দিকেও এগোচ্ছে ঢাকা।

তিনি বলেন, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। এটা তুলে নিতে হলে যে প্রক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এটা বাতিল করতে হবে। আমরা লিগ্যাল প্রসেসের মধ্যদিয়ে যাব। ওখানে (যুক্তরাষ্ট্র) সার্টিফায়েড যে আইনজীবীরা আছেন, তাদের দিয়ে কাজগুলো করাতে হবে। আমরা ইনিশিয়াল কিছু লিগ্যাল অ্যাকশন নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবী নিয়োগ করা হবে।

রাজশাহীর সময়/এমজেড


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]