করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২৬ মাস বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চলাচল শুরু করেছে।
রবিবার (২৯ মে) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে কলকাতার কাঁচপুর থেকে ১৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়। বেনাপোল রেল স্টেশনের ম্যানেজার সাইদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক (রাজশাহী জোন) সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘দীর্ঘ দুই বছর করোনার কারণে বন্ধন এক্সপ্রেস বন্ধ থাকার পর আজ চালু হয়েছে। আগত যাত্রীদের আমরা ফুল দিয়ে বরণ করেছি।’
২০১৭ সালে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চালু হয়। এর পর করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে ট্রেনটি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খুলনা থেকে প্রতি বৃহস্পতি ও রবিবার ট্রেন ছেড়ে যাবে। ভারত থেকেও আসবে এই দুই দিন।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর কলকাতা-খুলনার মধ্যে ৪৫৬ আসনের বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল শুরু হয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনে কেবিনে সিট ভাড়া দেড় হাজার ও চেয়ার কোচ ভাড়া এক হাজার টাকা। সঙ্গে যোগ হয় ৫০০ টাকার ভ্রমণ কর।
ট্রেনটির ৪৫৬ আসনের মধ্যে ৩১২টি এসি চেয়ার ও ১৪৪টি প্রথম শ্রেণির আসন রয়েছে। কলকাতা-খুলনার মধ্যে দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশে পড়েছে ৯৫ কিলোমিটার ও ভারতে পড়েছে ৭৭ কিলোমিটার।
বন্ধন এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতা থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বেনাপোল স্টেশনে পৌঁছাবে। পরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে পৌঁছাবে ১২টা ৩০ মিনিটে। খুলনা থেকে আবার যাত্রী নিয়ে দুপুর দেড়টায় রওনা দিয়ে বেনাপোল পৌঁছাবে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে। পরে বেনাপোলে রেলওয়ে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে রওনা দিয়ে কলকাতা পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে।
রাজশাহীর সময়/এইচ