মশার ভনভন আর মশার কামড়ের বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা কম বেশি সব মানুষেরই রয়েছে। তবে একটা বিষয় বেশ অবাক করার মতোই। কিছু মানুষকে সত্যিই অন্যদের তুলনায় মশা কম কামড়ায়! নিশ্চয়ই এমন ঘটনা নিজের চোখেই দেখেছেন। নিজের পরিবারে হোক বা বন্ধুদের মধ্যে, এমন ঘটনা খুব স্বাভাবিক।
কেন কিছু লোককেই মশারা ছেঁকে ধরে এই নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। কেন কিছু কিছু লোককেই মশারা বেশি পছন্দ করে কামড়াতে এই প্রশ্ন নিশ্চয়ই আপনাকেও ভাবিয়েছে। কিন্তু যদি জানেন যে মশারা কামড়ানোর সময় সামাজিক লিঙ্গকে প্রাধান্য দেয়! মানে, পুরুষ নাকি মহিলা, মশারা সেই বুঝে কামড়ায়- এমনটা জানলে কী বলবেন?
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণায় দেখা গিয়েছে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মশা কামড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। গবেষণাটি অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। আগে হামেশাই শোনা যেত মশারা মহিলাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়, সেই ধারণাকে উড়িয়ে দিয়েছে এই গবেষণা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মশার কামড়ের সঙ্গে রক্তের মিষ্টতার কোনও সম্পর্ক নেই। পুরুষরা ঘন ঘন মশার কামড়ের শিকার হয় প্রধানত তাদের শরীরের আকারের কারণে। গবেষণায় বলা হয়েছে, “বড় চেহারার ব্যক্তিরা বেশি মশাকে আকর্ষণ করে।” সম্ভবত বড় চেহারার মানুষদের অধিক আপেক্ষিক তাপ বা কার্বন ডাই অক্সাইডের কারণেই এমনতা ঘটে৷
২০০০ সালে প্রকাশিত একটি ল্যানসেট গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এই উপসংহারে পৌঁছন যে গর্ভবতী মহিলারাদের অগর্ভবতীদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি মশা কামড়ায়। গবেষণায় বলা হয়েছে, গর্ভবতী মহিলারা বেশি শ্বাস নেন এবং শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে যার ফলে মশারা তাদের আরও দ্রুত শনাক্ত করতে পারে।
মশা সম্পর্কে আরেকটি খুব মজার বিষয় হল, শুধুমাত্র স্ত্রী মশাই আপনাকে কামড়াতে পারে। পুরুষরা এক্ষেত্রে নিরীহ। পুরুষ মশারা চারপাশে ঘোরাফেরা করে ভনভন করে আপনাকে বিরক্ত করতে পারে ঠিকই, তবে কামরায় না। স্ত্রী মশা মানব দেহের রক্ত থেকে প্রোটিন বের করে তাদের ডিম বাড়াতে সাহায্য করে। এই প্রোটিনের সাহায্যে ডিম দ্রুত বিকাশ লাভ করে।