মঙ্গলে মিলল নুনের মতো খনিজ পদার্থ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 27-01-2022

মঙ্গলে মিলল নুনের মতো খনিজ পদার্থ

মঙ্গলে যে এককালে পর্যাপ্ত জল ছিল তা আগেই আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এতদিন মনে করা হত, তা ৩০০ কোটি বছর আগে শুকিয়ে গিয়েছে। তার আগে পুকুর নদী-নালা সবই ছিল, ফলে মাইক্রোবিয়াল জীবনের জন্য অনুকূল ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পাতলা হয়ে যায় এবং সমস্ত জল শুকিয়ে গিয়ে সে শীতল মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।

ক্যালটেক-এর গবেষকরা জানতে পেরেছেন, ৩০০ নয়, ২০০ থেকে ২৫০ কোটি বছর আগেও মঙ্গল গ্রহে জল ছিল।

তার ফেলে যাওয়া নুনের মতো খনিজ পদার্থই তার প্রমাণ। নতুন আবিষ্কার এবার বিজ্ঞানীদের ভাবাচ্ছে, যদি সে সময় মাইক্রোবিয়াল জীবনের জন্ম হয়ে থাকে, তবে তা কীভাবে বেঁচেছিল। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ছবি, স্টিরিও এবং ইনফ্রা রেড তথ্য দেওয়ার পর নদীর সঙ্গে যুক্ত প্রাচীন নোনা পুকুরের প্রকৃতি এবং সময় আবিষ্কার করেছে এমআরও বা মার্স রিকনেসাস অরবিটার । লাল গ্রহের মাটিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিউরিওসিটি এবং নাসার পারিসভারেন্স-এর মতো রোভাররা। তবে গ্রহটির বিবর্তন নিয়ে এই দুর্দান্ত আবিষ্কার করে ফেলেছে এমআরও।

মার্সে জোরকদমে চলছে খননকাজ এবং বিশ্লেষণ। মূলত চলছে 'প্রাণের সন্ধান'। আর সেই কাজ চলাকালীন দেখা গিয়েছে ৩০ থেকে ৯৯ শতাংশ জল বর্তমানে লুকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ক্রেস্টের খনিজগুলির মধ্যে। নাসার গবেষক ইভা শ্যাচেলর জানিয়েছেন ,"আমরা এখন যে মঙ্গলকে দেখছি সেখানে বেশিরভাগ অংশের জল আর ভূপৃষ্টে নেই। কিন্তু ৩ বিলিয়ন বছর আগেও সেখানে জল ছিল। এরপরই ক্রমশ শুকিয়ে গিয়েছে গ্রহটি।"তথ্য অনুসন্ধান করে জানা গিয়েছে মঙ্গল গ্রহে প্রায় আটলান্টিক মহাসাগরের অর্ধেক সমান পরিমাণে জল ছিল।

হয়ত বা এখনও থাকতে পারে। তবে তা অনুসন্ধান করলে হয়ত জানা যেতে পারে। জল গঠনে প্রধান উপাদান একটি অক্সিজেন এবং দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু মঙ্গলে রয়েছে অন্য রূপে। মঙ্গল গ্রহে উপস্থিত ডিউটিরিয়াম নামে একটি হাইড্রোজেন আইসোটোপ এই জল কমে যাওয়ার বিষয়ে কয়েকটি সূত্র সামনে আনে। বেশিরভাগ হাইড্রোজেন পরমাণুর নিউক্লিয়াসের মধ্যে কেবলমাত্র একটি প্রোটন রয়েছে কিন্তু ডিউটেরিয়ামে তা নয়।

কিন্তু এই আইসোটোপটিকে 'হেভি হাইড্রোজেন'ও বলা হয়ে থাকে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে একটি প্রোটন এবং একটি নিউট্রন। আর এখানেই মঙ্গলে জল বিলুপ্তির ইতিহাস লুকিয়ে। হাইড্রোজেন বাতাসে সহজেই মিশে যেতে পারে কিন্তু ডিউটেরিয়াম অনেক দ্রুত সেই কাজ করতে পারে। অতএব কোনও প্রাকৃতিক ঘটনার জেরে জল উবে গেলেও যেতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

রাজশাহীর সময় /এএইচ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]