নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর সাধারণ নিয়মে তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আজকার ও দোয়া পড়তেন। হাদিসের বর্ণনায় ওঠে আসা কমন তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আজকার ও দোয়াগুলো তুলে ধরা হলো-
১. হজরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ শেষে তিনবার ইসতেগফার (আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে) اَسْتَغْفِرُ الله পড়তেন। তারপর বলতেন-
اللهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আংতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া জাল ঝালালি ওয়াল ইকরাম।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি শান্তির প্রতীক। তুমিই শান্তির উৎস এবং শান্তির ধারা তোমার কাছ থেকেই প্রবাহিত। তুমি বরকতময় হে মহত্ব ও সম্মানের অধিকারী।’ (মুসলিম, মিশকাত)
২. নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাস প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর সালাম ফিরিয়ে বলতেন-
لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكَ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহু হামদ, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। রাজত্বও তার। প্রশংসা শুধু তারই। তিনিই সব কিছুর সর্বশক্তিমান। (বুখারি ও মুসলিম)
৩. اللّهُـمَّ لا مانِعَ لِما أَعْطَـيْت وَلا مُعْطِـيَ لِما مَنَـعْت وَلا يَنْفَـعُ ذا الجَـدِّ مِنْـكَ الجَـد
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা লা মানিআ লিমা আত্বাইতা, ওয়া লা মুত্বিয়া লিমা মানাতা, ওয়া লা ইয়াংফাউ জাল ঝাদ্দি মিনকাল ঝাদ্দি।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি যা প্রদানের ইচ্ছা কর, তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারে না এবং তুমি যাতে বাধা দাও, তা কেউ প্রদান করতে পারে না এবং কোনো সম্পদশালীর সম্পদই তোমার নিকট তাকে রক্ষা করতে পারে না।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)
এছাড়াও প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাসবিহ, তাহলিল ও তাকবির পড়ার পাশাপাশি সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস নিয়মিত পড়া। আয়াতুল কুরসি পড়া। এবং এ দোয়াটি পড়া-
হজরত উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ফজরের নামাজের সালাম ফিরিয়ে নবিজী বলতেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফেয়া ওয়া রিযকান তাইয়্যেবা ওয়া আমালান মুতাক্বাব্বালা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারি জ্ঞান চাই, পবিত্র রিজিক চাই এবং কবুল হওয়ার যোগ্য আমল (করতে) চাই।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহামদ)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর মাসনুন দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়া। হাদিসের অনুসরণ ও অনুকরণে আমল বাড়ানো। আর তাতেই মিলবে দুনিয়ার সফলতা ও পরকালের চূড়ান্ত মুক্তি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের শেখানো দোয়া ও জিকিরগুলো প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
রাজশাহীর সময়/জেড