বিয়ের মাত্র ২১ দিনের ব্যবধানে হাতের মেহেদীর রঙ না শুকাতেই জীবনের আলো নিভে গেল আলোর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্বহত্যা করে সে। নাটোরের সিংড়া উপজেলার বামিহাল দশোপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে আলো। এ বছর বামিহাল রহমত ইকবাল অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে সে।
ঈদুল ফিতরের পরেরদিন আলোর মতামত উপেক্ষা তাকে বিয়ে দেন বাবা-মা।
এলাকাবাসী জানায়, ঈদুল ফিতরের পরেরদিন গত ৪ মে আলো খাতুনের মতামত উপেক্ষা করে রাজশাহী পুঠিয়ার ঝলমলিয়া গ্রামের এক বিকাশ এজেন্ট ম্যানেজারের সঙ্গে বিয়ে দেয় বাবা-মা। বিয়ে সম্পন্ন হলেও আলো খাতুন তার বাপের বাড়িতেই ছিলেন।
এরপর মঙ্গলবার রাতে তার শয়ন ঘরে আলো খাতুনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ আলম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর বিষয়টি জানা যাবে।