পাচার করা হচ্ছিল বিদেশে। কিন্তু তার আগেই সুদূর হরিয়ানা থেকে বারুইপুরের পিয়ালীর এক নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে বারুইপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত পিয়ালী এলাকার অষ্টম শ্রেণির এই নাবালিকার সঙ্গে হরিয়ানার এক ব্যক্তি ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতায়। এরপর ধীরে ধীরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে বলতে ফোন নম্বরও আদানপ্রদান করে।
এরপর ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ১৯ এপ্রিল তাঁকে হরিয়ানায় নিয়ে যায়। তাঁর পরিবারের লোকজন বিস্তর খোঁজাখুঁজি করেও বাড়ির মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় । অবশেষে ২২ এপ্রিল ওই নাবালিকার বাবা-মা ঘুঁটিয়ারী শরীফ পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ পেয়েই ঘুঁটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ির এসআই ফারুক রহমান তদন্তে নামেন। নির্যাতিতা নাবালিকাকে উদ্ধার করার জন্য সমস্ত প্রকার আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তদন্ত শুরু করেন তিনি। তাতেই পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তি হরিয়ানার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে সেই নাবালিকাকে লুকিয়ে রেখেছে।
এরপরই ১৮ মে ঘুঁটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ি পুলিশের পাঁচজনের এক বিশেষ পুলিশ টিম এএসআই সৌভিক সেতুয়ার নেতৃত্বে হরিয়ানার উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ মে ভোরে হরিয়ানা রাজ্যের সিরসা জেলার নাথুসারি থানার অন্তর্গত জোরিয়ান গ্রামে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই নাবালিকাকে একটি বদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় নারসি নামে এক ব্যক্তিকে। অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং উদ্ধার হওয়া নাবালিকাকে নিয়ে আগামী সোমবার রাজ্যে ফিরবে বারুইপুর পুলিশ।