নির্বাচন কমিশন গঠন আইনে সার্চ কমিটিতে রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার বিধান যুক্ত করে বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশন গঠন বিল পাস করেছে জাতীয় সংসদ। এছাড়া সার্চ কমিটির কাজ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। যা সংসদে উত্থাপিত বিলে ছিল ১০ কার্যদিবস। এই সংশোধনী দুটি বিল পাসের সময় সংসদ সদস্যদের থেকে সুপারিশ আসে। পরে তা সংসদে গ্রহণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ পাসের প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিরোধী দলীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য বিলটি জনমত যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব তুললে তা নাকচ হয়ে যায়। তবে বিরোধীদলের অনেকগুলো সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। এগুলোর মধ্যে একটি হলো সার্চ কমিটিতে একজন নারী থাকবেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন সার্চ কমিটিতে দুইজন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার প্রস্তাব দেন। আইনমন্ত্রী সেই প্রস্তাব গ্রহণে সায় দিলে সংসদ তা ভোটে গ্রহণ করে। অর্থাৎ ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে নাম সুপারিশের জন্য যে সার্চ কমিটি থাকবে সেখানে একজন নারী সদস্য থাকবেন।
প্রথমে এই বিলের নাম ছিল, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল’। সংসদে সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে এখন নাম হবে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল’।
সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন, যার সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক। সদস্য হিসেবে থাকবেন- প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কমিশনের চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুইজন বিশিষ্ট নাগরিক।
এখন রাষ্ট্রপতির মনোনীত ওই দুজন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার বিধান যুক্ত হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বিধান রাখা হয়েছিল। তবে এখন সেটি ১৫ কার্যদিবস করা হয়। জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের এ সংক্রান্ত সংশোধনী সংসদ গ্রহণ করে।
রাষ্ট্রপতি সই করার পর গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন পাবে বাংলাদেশ।
রাজশাহীর সময় / এফ কে